ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২৫
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি
সিলেটের জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম বলেছেন, ‘শহীদরা আমাদের জাতীয় সম্পদ, তাদের চেতনা আমরা লালন করি, তারা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। যে জন্য তারা জীবন দিয়েছেন সেটা যেন আমরা সমুন্নত রাখতে পারি এবং সবাই মিলে দেশ গড়তে পারি সেটি হচ্ছে কামনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসামি ধরার ব্যাপারে সরকার কাজ করছে। একটা বিষয় হচ্ছে সব লোককে তো আপনি একদিনে এরেস্ট করতে পারবেন না এটা একটু সময় লাগবে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে পুলিশকে তো একটা স্ট্রাকচার করতে সময় লাগছে। আপনি নিজে জানেন, পুলিশ একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সুতরাং আসামি ধরতে অনেকদিন সময় লাগছে। ইতিমধ্যে কিন্তু অনেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে এবং বিচারকার্য চলমান রয়েছে।’
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে গোলাপগঞ্জ উপজেলার জুলাই আন্দোলনে নিহত ৭ শহীদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সারওয়ার আলম বলেন, ‘ন্যায় বিচার নিয়ে সঙ্কীর্ণ হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ, রাস্ট্র এবং সরকার বা আমরা যারা বিভিন্ন দায়িত্বে আছি সবাই তৎপর হয়েছি যাতে করে তারা সঠিক বিচার পায়। যাদের জীবন চলে গেছে তাদের জীবন তো দেওয়া যাবে না কিন্তু তারা যেন সঠিক বিচার পায় সেটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলটন চন্দ্র পাল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) মুখলেছুর রহমান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আব্দুর রহিম, গোলাপগঞ্জ মডেল মসজিদের ইমাম ও খতিব আব্দুল মতিন, পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফফার কুটি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী রোমান আহমদ নৌশাদ প্রমুখ।
কবর জিয়ারত করতে গিয়ে ৭শহীদের পরিবারের সদস্যদের বুকে জড়িয়ে ধরে শান্তনা দেন জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host