ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২৫
বিশেষ প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)র প্রস্তাবনা অনুযায়ী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সরকারের লীজকৃত এরিয়া ছাড়া কিছু স্থানীয় অসুাধ ও একটি কুচক্রীমহল কর্তৃক নদীর পাড় কাটাচক্রের হাত থেকে বালু মহাল এরিয়া এখন সুরক্ষিত রয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সরেজিমনে যাদুকাটা নদীতে ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলার পাশাপাশি চব্বিশ ঘন্টা বিজিবির সদস্যদের টহল জোরদারের দৃশ্যটি দেখে নদীকাছে গ্রামগুলোর অসহায় মানুষের নজর কেড়েছে এবং তারা স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেলছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরা সম্ভাবণাময় পর্যটন স্পর্ট হিসেবে খ্যাত যাদুকাটা নদী ও বারিকেলটিলা, শিমুলবাগান এরিয়ে এখন সুরক্ষিত। নদীতে নেই কোন অবৈধ বালু উত্তেলেনে ড্রেজার মেশিনের তান্ডব। কিন্ত সপ্তাহখানের আগে ও এই নদীতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী কুচক্রীমহল দখলকৃত খাস জমি বিক্রি করেছিল বালুখেকোদের নিকট।
এছাড়াও ক্যাম্পে জনবল বৃদ্ধিসহ যাদুকাটা নদীতে চব্বিশ ঘন্টা দিন এবং রাতে মিলে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন বিজিবির সদস্যরা। সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে দেশের সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এইসব অবৈধ নদীর পাড়কাটা ভূমিদস্যুদের অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সুনামগঞ্জ ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)’র সদস্যরা। বর্তমানে বিজিবি”র টহল তৎপরতার পাশাপাশি সিভিল প্রশাসন কর্তৃক যৌথভাবে নদীতে অভিযান পরিচালনা করার ফলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কার্যক্রমে সফলতা এসেছে।
এখন যাদুকাটা নদীতে ইজারা বর্হিভূত এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার ও বোমা মেশিনের নদীর পাড় কাটার দৃশ্য চোখে পড়ছে না। নিয়ম মেনে যাদুকাটা নদীর গভীর হতে সঠিক পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করছেন বৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। এলাকাবাসির দাবি বর্তমান স্থীতিশীল অবস্থা বজায় রেখে বৈধ উপায়ে ইজারাভূক্ত এলাকা থেকে সনাতন পদ্ধতিতে যেন ইজারাদারগণ বালু উত্তোলন করেন। এজন্য বিজিবি,পুলিশসহ প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপে সর্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার ফলে বর্তমান স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সরকার ও প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল একেএম জাকারিয়া কাদির জানান,ভবিষ্যৎ এ যদি কেহ নিয়ম ভঙ্গ করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে চেষ্টা করেন তাহলে সাথে সাথে সিভিল প্রশাসন,স্থানীয় জনসাধারনকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে । তিনি আরো বলেন,অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে চব্বিশ ঘন্টা বিজিবির সদস্যা নিয়োজিত থাকলে সীমান্ত সুরক্ষাসহ অস্ত্র,মাদক চোরাচালান বন্ধে বিজিবির মূল দায়িত্ব ব্যাহত হবে বলে তিনি আশংঙ্কা প্রকাশ করেন। তাছাড়া দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও অপার সম্ভাবণাসময় পর্যটন স্পষ্ট হিসেবে খ্যাত রূপের রানী বলে আখ্যা দেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host