৩১ ঘণ্টায় ৪ বার ভূমিকম্প

প্রকাশিত: ১১:৫৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২৫

৩১ ঘণ্টায় ৪ বার ভূমিকম্প

এসব ‘আফটার শক’ পুনরায় ভূমিকম্পের ঝুঁকি : আবহাওয়া অধিদপ্তর * ফের ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে ঢাবিতে হুড়োহুড়ি, আহত ৬ * রোববার ঢাবির সব ক্লাশ-পরীক্ষা স্থগিত * তৃতীয় দফার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী থেকে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
রাজধানী ঢাকায় ও আশপাশের এলাকায় মাত্র ৩১ ঘণ্টার মধ্যে চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু করে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ধারাবাহিক কম্পন ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞদের কাছে নতুন সতর্কবার্তাÑবাংলাদেশ বড় ধরনের ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে।
দুই সেকেন্ডে রাজধানীতে দুটি ভূমিকম্প :
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকায় পরপর দুটি ভূমিকম্প হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, প্রথমটি অনুভূত হয় সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৭। এর এক সেকেন্ড পর ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে আরও একটি ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ৩ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল বাড্ডায়। আর ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে।
এর আগে একইদিন সকালে নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে ৩ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। এতে শিশুসহ ১০ জন নিহত এবং ছয় শতাধিক মানুষ আহত হন। আতঙ্কে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়া, ভবন হেলে যাওয়া ও ফাটল সৃষ্টি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশিÑ৫ জনের মৃত্যু হয় নরসিংদীতে; ঢাকায় মারা যান ৪ জন এবং নারায়ণগঞ্জে ১ জন।
পরপর ৪ ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পগুলো একটি বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস। ভূতাত্ত্বিকরা দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন যে বাংলাদেশ একটি সক্রিয় প্লেট সীমান্তে অবস্থান করছে, যেখানে যেকোনো সময় বড় ধরনের কম্পন ঘটতে পারে।
বিশেষজ্ঞ মত অনুযায়ী, বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের প্রধান উৎস দুটো। এর একটি হলো ‘ডাউকি ফল্ট’, যা ভারতের শিলং মালভূমির পাদদেশে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ-জামালগঞ্জ-সিলেট অঞ্চলে বিস্তৃত যা প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ।
আরেকটি হলো- সিলেট থেকে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, টেকনাফ পর্যন্ত যা সব মিলিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই উৎসটিকে খুব ভয়ংকর বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
টেকটনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে- পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তরদিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার গণমাধ্যমে বলেন, ‘ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশান জোনের তৈরি হয়েছে। আর নটরিয়াস (ভয়ংকর অর্থে) এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’
তার মতে, নরসিংদীর মাধবদীতে যে ভূমিকম্পের উৎস ছিলো সেই এই সেগমেন্টেরই এবং নরসিংদীতে দুই প্লেটের যেখানে সংযোগস্থল, সেখানেই ভূমিকম্প হয়েছে।
অধ্যাপক হুমায়ুন বলেন, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুললো বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে বড় একটি প্লেট বাউন্ডারির খুব ক্ষুদ্র শক্তি খুলে গেলো তার মানে হলো সামনে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। কারণ একটু খুলে যাওয়া কিছু শক্তি বের হওয়ায় সামনে এই শক্তির বের হওয়া আরও সহজ হয়ে গেছে।’
আগের বড় ভূমিকম্পের নজির :
বাংলাদেশ ও আশপাশের এই অঞ্চলে আগেও ৮ মাত্রার ওপরে বড় ভূমিকম্প হয়েছেÑ
১৮৯৭ সালে ডাউকি ফল্টে ৮.৭ মাত্রার ভূমিকম্প; ১৭৬২ সালে টেকনাফ-মিয়ানমার অঞ্চলে ৮.৫ মাত্রার ভূমিকম্প; ১৭৯৭ সালে ভূমিকম্পে ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথ বদলে যাওয়া; ১৮৬৮ ও ১৯২২ সালে সিলেট–মৌলভীবাজার অঞ্চলে ৭.৫ ও ৭.৬ মাত্রার বড় ভূমিকম্প; এই ইতিহাস ইঙ্গিত দেয়Ñঅঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকম্পপ্রবণ।
কেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ঢাকা?
বিশেষজ্ঞদের মতেÑ ঢাকার অধিকাংশ ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মিত নয়। অতিরিক্ত ঘনবসতি ও সংকীর্ণ রাস্তার পাশাপাশি উদ্ধার ও দ্রুত প্রতিক্রিয়ার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। তাই বড় ভূমিকম্প হলে সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা এই শহরেই।
অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘মাধবদীর ভূমিকম্প দেখাচ্ছে বড় শক্তি বেরিয়ে আসার পথ খুলছে। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ঢাকা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হতে পারে।’
ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের ভবনগুলোর জরুরি অডিট, বিল্ডিং কোড প্রয়োগ, উদ্ধার সক্ষমতা বাড়ানো, জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধিÑসবই এখন সময়ের দাবি।
সতর্কবার্তা স্পষ্টÑ৩১ ঘণ্টায় ৪ দফা কম্পন জানাচ্ছে, ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে এবং বড় কম্পনের সম্ভাবনাকে আর হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।
এদিকে শুক্রবারের ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর শনিবার ফের দুবার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এদিন সকালে ৩.৩ মাত্রা এবং সন্ধ্যায় ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। আজকের এই কম্পনগুলোকে ‘আফটার শক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, মাটির দুর্বল গঠনের কারণেই গতকালের ভূমিকম্পে কম্পন বা ঝাঁকুনি বেশি সময় ধরে অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, গতকাল যে ৫.৭ মাত্রার বড় ধরনের ভূমিকম্প হলো সেটার পরে আজকের দুটি ঘটনা আফটার শক। সাধারণত আফটার শকে আগের মাত্রার চেয়ে অন্তত ১ পয়েন্ট কম মাত্রা হয়। তাই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এমন আফটার শক ঘটতে পারে। আতঙ্কিত না হয়ে শকের সময় নিরাপদে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।
রিখটার স্কেলে গতকালের ভূমিকম্পের মাত্রা ৬-এর নিচে থাকলেও এর স্থায়িত্ব ও তীব্রতা বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, গতকাল মাত্রা ৬ এর নিচে হলেও ওয়েভ (কম্পন) বেশি সময় স্থায়ী এবং ঝাঁকি বেশি হওয়ার কারণ, আমাদের এই অঞ্চলের মাটির গঠন কিছুটা দুর্বল। অপেক্ষাকৃত মাটির গঠন দুর্বল হলে শক বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়।
তিন দফায় এই কম্পনগুলো বাংলাদেশকে পুনরায় ভূমিকম্পের ঝুঁকির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। ভবিষ্যৎ বিপর্যয় এড়াতে তিনি বলেন, আমাদের এই অঞ্চল ভূমিকম্পের অধিক ঝুকিপূর্ণ। এজন্য আমাদের ভবন নির্মাণে অধিক সচেতন ও বিল্ডিং কোড মেনে চলতে হবে। আমাদের খোলা মাঠ, পার্ক সংরক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে ভবন সংলগ্ন রাস্তাগুলোকে সুপ্রশস্থ করতে হবে।
এদিকে দেশে গত ৩৬ ঘন্টায় তৃতীয় দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হলো। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের সময় সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে শামসুন্নাহার হলের তিনজন, কুয়েত মৈত্রী হলের একজন, বেগম রোকেয়া হলের একজন এবং মাস্টারদা সূর্যসেন হলের একজন আহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনই ছাত্রী।
শামসুন্নাহার হলের ছাত্র সংসদের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ইসরাত জাহান সুমনা সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে পায়ে গুরুতর আঘাত পান। ধারণা করা হচ্ছে তার পা ভেঙে যেতে পারে। শামসুন্নাহার হলে আহত অন্য দুইজনকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। কুয়েত মৈত্রী হলের একজন শিক্ষার্থীও সিঁড়ি থেকে পড়ে আহত হয়েছেন। বেগম রোকেয়া হলের একজন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন এবং তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে হাতে ব্যথা পেয়েছেন।
এদিন সন্ধ্যায় ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়, তবে তা ছিল হালকা মাত্রার। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী থেকে ৩ মাইল দূরে, মাত্রা ছিল ৪.৩। শনিবার সকালেও ৩.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে, যার উৎপত্তি ছিল নরসিংদীতে।
এর আগে শুক্রবারের ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়। গতকালও ঢাবির হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের চারতলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে মোট তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের এক শিক্ষার্থীও লাফ দিয়ে পা ভেঙেছেন। এ ঘটনায় তিন জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হন কমপক্ষে ছয় শতাধিক মানুষ। ঢাকার কিছু ভবনে ফাটল এবং হেলে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভূমিকম্পের কারণে আতঙ্কিত ও ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে রোববার (২৩ নভেম্বর) সব ধরনের ক্লাশ ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ এবং পরামর্শের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে একটি সভা করে। সেই সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার ঢাবির সকল ক্লাশ ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক শিক্ষার্থী তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করলে তিনি উপাচার্যকে বিষয়টি জানিয়ে ছিলেন। উপাচার্য এ সিদ্ধান্তের অনুমোদন দিয়েছেন। শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
এদিকে উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে দুই সংস্থা ভিন্ন তথ্য দিয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার বাড্ডায়। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, এর উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী থেকে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে।
ইউএসজিএস আরও জানায়, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার ভেতরে এবং মাত্রা ৪ দশমিক ৩। যদিও উভয় সংস্থার দেওয়া মাত্রার তথ্য একই, উৎপত্তিস্থল নিয়ে মতপার্থক্য থাকায় বিষয়টি নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর