ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদন : সিলেটে জেলা ও মহানগরের সম্মেলনের আগেই আতঙ্ক বেড়ে গেছে সিলেট আ’লীগে। ফলে পদপ্রত্যাশী বিতর্কিতরাও অনেকটাই আড়ালে চলে গেছেন। চলমান শুদ্ধি অভিযানের ফলে এই আতঙ্কাভাব এখন সিলেটের আওয়ামী পরিবারে। বিতর্কিতরা যাতে দলের কোন পর্যায়ে জায়গা না পায়-সে ব্যাপারে কঠিন নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।যাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে দল বিভিন্ন সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে তাদের বিষয়ে কোন ছাড় দিতে রাজি নয় দলটি । ইতোমধ্যে নজিরবিহীন শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে আওয়ামী লীগ । দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বেশ কয়েক জনকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে । অনেকেই নজরদারিতে আছেন ।
আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগ এবং এর আগে সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে । ওই কাউন্সিলে বিতর্কিত নেতা-মন্ত্রীরা যাতে কোনোভাবেই ঠাঁই না পায় সে ব্যাপারেও সতর্ক রয়েছে দলটির হাইকমান্ড ।
আওয়ামী লীগ সুত্র বলছে, শুধু উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নয়, এর আগে যারা ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে বিরোধিতা করেছেন এবং বিভিন্ন দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে দলকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছেন- এমন বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী-এমপি কিংবা প্রভাবশালী নেতা যেই হোন না কেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছেন। শুদ্ধি অভিযান সে জন্যই পরিচালিত হচ্ছে । কোন দুর্নীতিবাজই ছাড় পাবে না ।
দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে ইতোমধ্যে সাবেক আটজন মন্ত্রীসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাদের একটি বড় তালিকা প্রধানমন্ত্রীর হাতে আছে । প্রধানমন্ত্রী সেগুলো নিজস্ব সোর্স দিয়ে যাচাই বাছাই করছেন । আগামী কাউন্সিলে ওই সব দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাকর্মী এবং এদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতারা কোনোভাবেই যাতে কমিটিতে স্থান না পায় সে ব্যাপারে কঠোর নীতি অবলম্বন করছেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
একই অবস্থা পুরো দেশে । জেলায় জেলায় জরিপকার্য সম্পন্ন হয়েছে । বিগত সময়ে যারা নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, যাদের কর্মকান্ড দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং হাইব্রিড বা অনুপ্রবেশকারী দলের কোন পর্যায়ে থাকতে পারবেন না । তালিকানুযায়ী এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
সিলেট জেলা, মহানগরসহ পুরো বিভাগের অনেক শীর্ষ নেতাদেরও নাম আছে বাদ পড়াদের তালিকায় । আগামী সম্মেলনে এরা দল থেকে ছিটকে পড়বেন। দলকে পরিচ্ছন্ন করার এ কার্যক্রমে আগামী দিনে নের্তৃত্বে আসার স্বপ্ন দেখা অনেকের স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে বলে সুত্র জানিয়েছে ।
সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ থেকেও অনেকে বাদ পড়ছেন । এ পর্যন্ত সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, শুদ্ধি তালিকানুযায়ী তারা অনেকেই আনফিট । জেলার সভাপতি হিসেবে থাকছেন না কোন এমপি। সাধারন সম্পাদক প্রার্থীদের মধ্যে দুই প্রভাবশালী প্রার্থী বাদ পড়বেন তালিকার সুত্র অনুযায়ী।
মহানগর আওয়ামী লীগে বিকল্প প্রার্থী না থাকায় সভাপতি পরিবর্তন নাও হতে পারে । সভাপতি প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা কেউই ফোকাস নন । তাছাড়া বিগত সিটি নির্বাচনও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে । সাধারন সম্পাদকের প্রার্থীতার তালিকায় থাকাদের মধ্যে দুই বলয়ের দুই প্রার্থী বাদ পড়ছেন দূর্ণীতি ও দুবৃত্তায়নের অভিযোগে দলীয় সুত্র এমনটা নিশ্চিত করেছে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host