ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০১৯
ডেস্ক প্রতিবেদন : সিলেটে রবীন্দ্রনাথ শতবর্ষ স্মরনোৎসব কমিটি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলেন ইমজা সভাপতি বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী। উদযাপন পরিষদের নানা অনিয়ম, বিতর্কিত কর্মকা- তুলে ধরে সোমবার তিনি কমিটি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলেন। গণ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষ স্মরণোৎসব ২০১৯ পর্ষদে আমাকে মূল্যায়ন করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই । যদিও এই আয়োজনে রবীন্দ্রনাথ অনুরাগী বা রবিঠাকুরকে যারা ধারণ করেন তাদের নিয়ে করা উচিত ছিল, বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে কমিটির সমালোচনা করেছি শুরু থেকে।
রবি ঠাকুরের সিলেট আগমনের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানকে ঘিরে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল।কমিটি গঠন প্রক্রিয়া, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিলেক্ট করা, অনুষ্ঠানের ফন্ডের উৎস ও মোট বাজেট নিয়ে নানামুখি আলোচনা ছিল। এর মধ্যে কমিটি থেকে বিতর্কিত লোকজনকে বাদ দিতে নগরীতে সংস্কৃতিকর্মীরা মিছিল ও মানববন্ধন, সমাবেশ করেছেন। আমি নিজেও ঐ কমিটি’র কোন সভাতে যোগ দেইনি। আজ মনে হচ্ছে এই ‘বিতর্কিত কমিটি’ থেকে শুরুতেই নাম প্রত্যাহার না করাটা আমার একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
তিনি বলেন, রোববার রাতে ব্রাহ্ম সমাজের একটি বিবৃতি প্রকাশ হয়। তাতে উল্লেখ ছিল, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ শতবর্ষ স্মরণ ২০১৯ পর্ষদের ফেইসবুক ইভেন্টে একটি আমন্ত্রণপত্র নজরে আসে। তাতে তাদের অনুষ্ঠানমালায় ব্রাহ্ম সমাজের অনুষ্ঠানসূচি উল্লেখ করা হয়, যা শ্রীহট্ট ব্রাহ্ম সমাজ তাদের ছাপানো আমন্ত্রণপত্রে ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে। তাতে করে ব্রাহ্ম সমাজের পৃথক এবং নিজেদের অর্থায়নে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান নিয়ে সিলেটের সুধীমহলে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ শতবর্ষ স্মরণ ২০১৯ পর্ষদের এরকম আচরণে আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছি। আমরা মনেকরি পর্ষদের আমন্ত্রণপত্রে ব্রাহ্ম সমাজের অনুষ্ঠানসূচি উল্লেখ থাকার কারণে সুধীমহলে এই বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে যে অনুষ্ঠানসূচিতে উল্লেখিত অনুষ্ঠানাদি ওই পরিষদই করছে। কিন্তু সত্য হলো ৫ নভেম্বরের সকল আয়োজনের মূলভিত্তি হলো শ্রীহট্ট ব্রাহ্ম সমাজের প্রগতিশীল চেতনা, অসীম আবেগ ও সাহস।’
আমি মনে করি ব্রাহ্ম সমাজের দায়িত্বশীলদের এই প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক এবং আমি তাদের কাছে পর্ষদের একজন হিসেবে দুঃখ প্রকাশ করছি। সেই সাথে এই পর্ষদ এর সদস্য পদ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host