ঢাকা ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদন
লাভজনক ভুয়া নতুন স্কীম দেখিয়ে এক ব্যক্তির ২৪ রাখ টাকা আত্মসাত করেছেন সাউথ ইস্ট ব্যাংক এক কর্মকর্তা। স্কীম না থাকায় পরে চেক দিয়েও প্রতারণা করেছেন তার সাথে। ঘটনাটি ঘটেছে সাউথ ইস্ট ব্যাংক সিলেট শাহজালাল উপশহর শাখায়।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, সাউথ ইস্ট ব্যাংক সিলেট শাহজালাল উপশহর শাখার কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুজ্জামান তুহিন এক গ্রাহককে তার শাখায় নতুন স্কীম চালু হয়েছে বলে উক্ত স্কীমে টাকা জমা রাখার কথা বলে গ্রাহক আব্দুল মালিক এর কাছ থেকে কৌশলে ২৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অভিযোগকারী মোঃ আব্দুল মালিক সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড শাহজালাল উপশহর শাখা যোগাযোগ করে জানতে পারেন নতুন কোন স্কীম চালু হয়নি এবং তার নামীয় কোন হিসাব এই শাখায় নেই। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আব্দুল মালিক এডভোকট কাজল কান্তি পুরস্কায়স্থ এর মধ্যে তুহিনের নামে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন।
লিগ্যাল নোটিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরীর ৫নং মেন্দিবাগস্থ সৈয়দ আবু নছর এর ছেলে, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড শাহজালাল উপশহর শাখার কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুজ্জামান তুহিন ২০১৮ সালের মে মাসে ৩৬নং মেন্দিবাগের বাসিন্দা মরহুম রহম উল্লা’র ছেলে মোঃ আব্দুল মালিককে এই মর্মে বুঝান যে, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড শাহজালাল উপশহর শাখায় প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা জমা রাখলে বছরান্তে ১৫ লক্ষ টাকা একসাথে পাওয়া যাবে। প্রতিবেশী তুহিনের কথায় বিশ^াস করে আব্দুল মালিক তার নামে স্কীমের অধিনে ২টি হিসাব খুলার কথা বলেন। সেমতে তুহিন কতিপয় কাগজপত্রে আব্দুল মালিকের স্বাক্ষর গ্রহণ করে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ১ম সপ্তাহে দুটি জমা হিসাবের জন্য ২ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। একই ভাবে পরবর্তীতে প্রতি ইংরেজি মাসের ১ম সপ্তাহে আব্দুল মালিকের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত মোট ২৪ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন তুহিন। ১২ মাস পর ২০১৯ সালের জুলাই মাসে একসাথে টাকা তুলার উদ্দেশ্যে আব্দুল মালিক ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন এই শাখায় এ ধরনের কোন স্কীম নেই এবং তার নামে এই শাখা কোন হিসাব ও নেই।
এরপর আব্দুল মালিক ব্যাংক কর্মকর্তা তুহিন এর কাছে তার নামে ব্যাংকে কোন হিসাব খুলা হয়নি কেন? এবং ২৪ লক্ষ টাকা কোথায় জমা হয়েছে জানতে চাইলে তুহিন বিষয়টি কাউকে না জানানোর অনুরোধ করেন এবং ২৪ লক্ষ টাকার চেক প্রদানের আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে সৈয়দ নুরুজ্জামান তুহিন ১২ লাখ টাকা করে ২টি চেক আব্দুল মালিককে দিয়েছেন।
তুহিন তার নামিয় ব্র্যাক ব্যাংক এর একাউন্ট নং ৬৩০১২০০৯০৪৬২৪০০২, তারিখ ১৪/১০২০১৯ইং তারিখযুক্ত স্কোল ০৩০৯০৮৩ নং চেক প্রদান করেন। আব্দুল মালিক চেকটি নগদায়নের নিমিত্তে তার নিজ নামিয় আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড উপশহর সিলেট শাখায় ৩০৪৯৪৮০৩৮৮০৩১ নং একাউন্টে গত ১২/১১/২০১৯ইং তারিখে জামা প্রদান করলে ঐ তারিখে অপর্যাপ্ত তহবিল মন্তেব্যে চেকটি ফেরৎ আসে।
তাই আব্দুল মালিক বাধ্য হয়ে এক মাসের মধ্যে তার পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য সৈয়দ নুরুজ্জামান তুহিনকে গত ২৬ নভেম্বর লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন।
সাউথ ইস্ট ব্যাংক শাহজালাল উপশহর শাখার কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুজ্জামান তুহিন এর আগেও অনেক গ্রাহকের সাথে প্রতারনা করেছেন। ভোক্তভোগীদের পরে আপোসে যেতে বাধ্য করেন। এমন কয়েকটি অভিযোগের তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। পরবর্তী অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসবে তার প্রতারণা ও আত্মসাতের অনেক বিরল তথ্য।
অভিযোগের ব্যাপারে বিজয়ের কণ্ঠ থেকে তার মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারনে নি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host