ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এমজেএইচ জামিল
দিন দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, ঘনিয়ে আসছে আসন্ন জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচন। সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে শংকার সৃষ্টি হয়েছে নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে। কেমন নির্বাচন হবে? এ নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। তবুও থেমে নেই প্রস্তুতি। সকল দলই নিজেদের মতো করে গুছিয়ে নিচ্ছেন চুড়ান্ত লড়াইয়ে জন্য। ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধী ঐক্যফ্রন্ট শিবিরে চলছে প্রার্থী বাছাইয়ের শেষ প্রস্তুতি। সময়ের সাথে সাথে বদলে যাচ্ছে জোটের-ভোটের সমীকরণ। চলছে দল বদলও। এমন পরিস্থিতিতে সিলেটের ৬টি আসনে দেখা দেবে নতুন মুখ, নাকি পুরাতনেই আস্থা রাখছে দলগুলো এমন প্রশ্নের উত্তর মিলবে খুব দ্রুতই। নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও এখনও একক প্রার্থী না ঘোষণায় আশা-নিরাশার দোলাচলে রয়েছেন মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রের একটি ঘোষণা, তারপর ভোট যুদ্ধে নেমে পড়বেন সিলেট জেলার ৬ টি আসনসহ বিভাগের ১৯ আসনের আগামী দিনের সংসদ সদস্যরা।
সিলেট-১ :
সদর ও সিটি কর্পোরেশন নিয়ে গঠিত সিলেট-১ আসনটি সকল দলের জন্যই মর্যাদাপূর্ণ। এই আসনে যে দলের প্রার্থীই জয়ী হয় সেই দলই সরকার গঠন করে এমন বিশ্বাস সবার মাঝেই।। তাই এ আসনে প্রার্থী দিতে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। নানা হিসেব কষছে রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও এ আসনে মতাসীন দল আওয়ামী লীগের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত নির্বাচন না করার অঙ্গিকার করেছেন বার বার। তারপরও তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তবে তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও ডামি প্রার্থী হিসেবে থাকবেন এমনটাও শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে। পাশাপাশি তাঁর সহোদর জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেনও এই আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন অনেক দিন থেকে।
এদিকে সিলেট-১ আসনে নির্বাচন করার কথা বার বার বলে এসেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ) অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। এছাড়া সিলেট-৩ আসনেও মনোয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তিনি। তবে কোন আসনে নির্বাচন করতে পারবেন তিনি- তা এখনো নির্দিষ্ট করেনি কেন্দ্র। পাশাপাশি সিলেট-৩ আসন থেকে মনোয়ন নিয়েছেন সাবেক সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। এছাড়াও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরানও সিলেট-১ আসনের মনোয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। সব মিলিয়ে কে হচ্ছেন সিলেট-১ আসনের নৌকার মাঝি- এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে দলীয় ঘোষনা পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া কোন উপায় নেই।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সিলেট-১ আসনে তাদের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি থেকে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা: শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী রয়েছেন মূল আলোচনায়। তবে বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সিলেট-১ আসনটি মর্যাদাপূর্ণ হওয়ায় কেন্দ্রের দৃষ্টি ইনাম আহমদ চৌধুরীর দিকেই। তবে তৃনমূলে জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক ভিত্তিতে খন্দকার মুক্তাদির এগিয়ে আছেন। ছাড় দিতে নারাজ ডা: শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীও। শেষ পর্যন্ত কে হচ্ছেন ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থী তা জানতে কেন্দ্রের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে।
সিলেট-২ :
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিএনপি-জোট নির্বাচনে আসায় সিলেট-২ আসনে রাজনীতির হিসেব পাল্টে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির একক আধিপত্য ভেঙ্গে সিলেট-২ আসনটি দখলে নেয় আওয়ামী লীগ। পরবর্তীতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটকে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। তবে এবার আওয়ামী লীগ ওই আসন পুনরুদ্ধার করতে চায়- এমন প্রত্যাশা সিলেট আওয়ামীলীগের। ১০ম নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে না আসায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহাজোট থেকে এমপি নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টি নেতা এহিয়া চৌধুরী ইয়াহইয়া। এবার তিনি জোট থেকে প্রার্থী হচ্ছেন কি না তা নিয়ে তৈরী হয়ে ধোঁয়াশা। আওয়ামী লীগ ছাড় দিতে নারাজ হওয়ায় হয়তো এবার তিনি ছিটকে পড়ছেন এমনটা ভাবছেন অনেকে। এই আসন থেকে আওয়ামী মহাজোট থেকে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা এস.এম নুনু মিয়া।
অপরদিকে ঐক্যফ্রন্টের হাত ধরে বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ায় সিলেট-২ আসনে বিএনপি-ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। দৃশ্যমান হয়েছে সিলেট-২ আসনে বিএনপির রাজনীতি। আলোচনায় এসেছেন নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী, ছেলে ও ভাই। ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা ও পুত্র ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস অর্ণব বিএনপি থেকে সংগ্রহ করেছেন মনোনয়ন ফরম। তবে এই আসনে ইলিয়াস পতœী লুনাকে ঘিরেই চলছে মূল আলোচনা। এই আসনে তিনি প্রায় নিশ্চিত এটা বলা যেতে পারে।
সিলেট-৩ :
দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠে রয়েছেন মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের একাধিক প্রার্থী। জাতীয় পার্টি মহাজোটে থাকলে এই আসনটি জাতীয় পার্টিকে দেয়া হতে পারে এমনটাও শোনা যাচ্ছে। আওয়ামীলীগের বর্তমান এমপি মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী কয়েস মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া মনোনয়ন ফরম তুলেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ এবং ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সভাপতি শাহ মুজিবুর রহমান জকন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহিদ, সিলেট আইন মহাবিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ব্যারিস্টার মনির হোসেনও। তবে এই আসন থেকে জাতীয় পার্টি নেতা আতিকুর রহমান আতিক মহাজোটের প্রার্থী হচ্ছেন এমনটা শোনা যাচ্ছে খুব জোরেশোরেই।
এদিকে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা আলহাজ্ব এম.এ হক, সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব শফি আহমেদ চৌধুরী, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার এম. এ সালাম। তারা সবাই মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া এই আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচন করতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জামায়াত নেতা দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদও। শোনা যাচ্ছে যদি কোন কারণে সিলেট-৬ আসন জামায়াতকে দেয়া না হয় তাহলে সিলেট-৩ দেয়া হতে পারে। এই লক্ষ্যেই তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
সিলেট-৪ :
জৈন্তাপুর ও গোয়ানইঘাট নিয়ে গঠিত সিলেট-৪ আসনের বর্তমান এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইমরান আহমদ। তবে এবার আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন চান অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান ও অধ্য ফজলুল হক। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকেও এই আসনে মহাজোটের হয়ে মনোনয়ন চেয়েছেন তাজ রহমান। এই আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকলেও তিনজনকে নিয়েই চলছে আলোচনা। সাবেক এমপি বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম এই আসনে প্রায় নিশ্চিত। তবে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে এখানে মাঠে রয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শামসুজ্জামান জামান।
সিলেট-৫ :
কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা সেলিম উদ্দিন। তবে এবার আসনটি থেকে জাতীয় পার্টির হয়ে মনোনয়ন চাইছেন দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য এম. জাকির হোসেইন, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাব্বীর আহমদ ও কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুদ্দীন খালেদ। আওয়ামীলীগ থেকে সাবেক এমপি হাফিজ মজুমদার ও মাসুক উদ্দিন আহমদও রয়েছেন আলোচনায়। এদিকে বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট থেকে এই আসনে জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রায় নিশ্চিত বলা যেতে পারে। যদিও মাঠ পর্যায়ে বিএনপি ও অন্যান্য ইসলামিক দলের পক্ষ থেকে এখানে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবী উঠেছে। এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপি কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন।
সিলেট-৬ :
গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা-পৌরসভা নিয়ে গঠিত সিলেট-৬ আসন নিয়ে যেমন চলছে গুঞ্জন ও তেমন চলছে হিসাব নিকাশও। এই আসনের বর্তমান এমপি হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সাবেক এমপি ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন এই আসনে শিক্ষামন্ত্রীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। আবার সাবেক বিএনপি নেতা শমসের মুবিন চৌধুরী বীর বিক্রম সম্প্রতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারায় যোগ দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী মহাজোট থেকে এই আসনে প্রার্থী হচ্ছেন সেটা নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকলেও শেষ মুহুর্তে নাহিদকে ঘিরেই তারা ঐক্যবদ্ধ বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই আসনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন চাইছেন কানাডা আওয়ামীলীগ নেতা সরওয়ার হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ পাপলু, বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম পল্লবও।
এদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এই আসনে প্রার্থী নিয়ে পড়েছে দু’টানায়। একদিকে বিএনপির একাধিক প্রার্থী অপর দিকে ২৩ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী। এবারের নির্বাচনে এই আসনটি জামায়াতকে ছাড়তে নারাজ বিএনপি। আবার এই আসনে মনোনয়ন পেতে জোর দাবীতে জামায়াত। শেষ পর্যন্ত জামায়াত কিংবা বিএনপির হলে কে হতে পারেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। এই আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন মাওলানা হাবীবুর রহমান। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে মাঠে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফয়সল আহমদ চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, জাসাসের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খান, জেলা বিএনপির উপদেষ্ঠা মাওলানা রশীদ আহমদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নি ও সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেক। তারা সবাই দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করে, মনোনয়ন বোর্ডে সাক্ষাৎকার প্রদানও করেছেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host