ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশেষে ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সিলেট জেলা হাসপাতাল চালু হতে যাচ্ছে। সিলেটের ঐতিহ্য ও আসাম প্যাটার্ণের নান্দনিক স্থাপনা আবু সিনা ছাত্রাবাস ভেঙে ২০২৩ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করা হলেও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে হাসপাতালটি।
স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ঠেলাঠেলির কারণে কেউই এই হাসপাতালটির দায়িত্ব নেননি। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে ‘বেওয়ারিশ লাশের‘ মতো পড়ে আছে দৃষ্টি নন্দন এই স্থাপনাটি।
অবশেষে এই হাসপাতালটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন সিলেটের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি)। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এই হাসপাতাল চালুর কথা বলেছেন ডিসি।
তিনি বলেন, সব জটিলতা কাটিয়ে আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হবে। এটি চালু হলে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে।
জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী আবু সিনা ছাত্রাবাস ভেঙে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছিলো। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কারো কোনো মতামত না নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করায় এটির দায়িত্ব নিতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সিভিল সার্জন অফিসসহ কেউই এর দায়িত্ব নিতে রাজি হচ্ছে না। ফলে হাসপাতাল চালু করা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। ফলে হাসপাতাল কমপ্লেক্স বুঝিয়ে দেওয়ার মতো কর্তৃপক্ষ পাচ্ছিল না গণপূর্ত বিভাগ।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে নির্মিতব্য ক্যান্সার ইউনিটের কাঠামোগত উন্নয়ন পরিদর্শনে আসেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম। এ সময় তার সাথে ছিলেন সিলেটের ডেপুটি কমিশনার মো. সারওয়ার আলম। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ডিসি সারওয়ার।
তিনি বলেন, ‘স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সিলেটে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি হবে, যাতে করে সিলেটের ক্যান্সার আকান্ত রোগীদের ঢাকা কিংবা দেশের বাইরে যেতে না হয়।‘
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানকার চিকিৎসক ও নার্সরা খুব আন্তরিক। কিন্তু অতিরিক্ত রোগীর কারণে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এখানে ৫০০ শয্যার জনবল রয়েছে। কিন্তু রোগী থাকেন প্রায় ৩ হাজার। এ ছাড়া রোগীদের স্বজনরাও ভিড় করেন। এ কারণে সবকিছুতে ঝামেলা হচ্ছে।‘ এ সময় তিনি ওসমানী হাসপাতালকে দালালমুক্ত করার কথাও বলেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host