নগর ভবনে পর্যালোচনা সভায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশ

প্রকাশিত: ৮:০০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৫

নগর ভবনে পর্যালোচনা সভায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চলমান কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নগরভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর বি. এম. আব্দুল হান্নান পুষ্টি কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে কর্মকর্তা ও শিক্ষকবৃন্দকে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, কিশোর-কিশোরীদের সুস্থ সবলভাবে বড় করতে না পারলে তাদের শিক্ষাজীবনেও প্রভাব পড়বে। তাই যে কোনো মূল্যে কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার।
কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ২০২২ সালের ২৭ মার্চ থেকে দেশব্যাপী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে একটি করে আইএফএ ট্যাবলেট খাওয়ানো কার্যক্রম শুরু করে, যা বর্তমানে চলমান। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে ইউনিসেফ ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন। ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়ে শিক্ষার্থীদের আয়রন ফলিক এসিড (আইএফএ) ট্যাবলেট খাওয়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক নানা কার্যক্রম চলছে বিদ্যালয়গুলোতে।
‘কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন গাইডলাইন-২০২০’ অনুসারে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়ে শিক্ষার্থীদের আইএফএ ট্যাবলেট খাওয়ানোর পাশাপাশি কৈশোরকালীন পুষ্টির কার্যক্রম যেমন- বিএমআই পরিমাপ, কৃমিনাশক ট্যাবলেট বিতরণ ও শারীরিক শিক্ষা কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয় সভায়।
পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে যথাযথভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে তাদের স্বাস্থ্য কার্যক্রম যথাযথভাবে তদারকি করতে হবে এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন, মাউশির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) প্রফেসর মো. সাইদুর রহমান, পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল, উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) প্রফেসর প্রিম রিজভী, সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ-১) এম. সাইফুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক ড. এম এ কাদির, সিলেট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক) এ এস এম আব্দুল ওয়াদুদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক নূরে আলম শামীম, ইউনিসেফ সিলেট ফিল্ড অফিসের প্রধান কাজী দিল আফরোজা ইসলাম, সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত, ইউনিসেফ সিলেটের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মির্জা ফজলি এলাহি প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর