ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২৫
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা
হবিগঞ্জের বাহুবলে সিলেটের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর দীপঙ্কর দাস দ্বীপের অন্তষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বাহুবল উপজেলার পুটিজুরিতে গ্রামের বাড়িতে হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
এরআগে বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় মরদেহ নেওয়া হয় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুড়ি গ্রামের বাড়িতে। সেখানে স্বজন, বন্ধু ও এলাকাবাসীর কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ছুটে আসেন তাকে শেষবারের মতো দেখতে।
গত ১২ নভেম্বর (বুধবার) ভোরে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান একুশ বছরের তরুণ দ্বীপ। তার আকস্মিক মৃত্যুতে নেমে আসে শোকের ছায়া।
মঙ্গলবার ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে দীপের মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে গাড়িযোগে সিলেটে আনা হয় মরদেহটি। রাত ৩টার দিকে মরদেহ পৌঁছালে গোপালটিলায় শোকে স্তব্ধ হয়ে যান পরিবার-পরিজন ও এলাকাবাসী। সকাল থেকে হাজারো মানুষ ভিড় করেন দীপের মরদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মাত্র ২১ বছরের দীপঙ্কর দীপ তার প্রতিভা, সৃজনশীলতা ও বিনোদনমূলক কনটেন্টের মাধ্যমে অল্প সময়েই অর্জন করেছিলেন হাজারো দর্শকের ভালোবাসা। উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি সম্প্রতি বিদেশে পাড়ি জমান। কিন্তু সব স্বপ্ন থেমে গেল এক মুহূর্তে।
দীপের হঠাৎ মৃত্যুতে তার ভক্ত-অনুরাগী, বন্ধু ও স্বজনরা শোকে ভেঙে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমজুড়ে চলছে স্মরণ, শ্রদ্ধা আর কান্নামাখা বিদায়।
উচ্চ শিক্ষার জন্য গত মাসেই মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন সিলেটের গোপালটিলার বাসিন্দা দ্বীপ।
দ্বীপের পরিবার সিলেটের গোপালটিলায় থাকেন। তবে তাদের মূল বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবলের পুটিজুড়িতে । তার বাবা দিব্যোজ্যোতি দাস। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় দ্বীপ।
দ্বীপের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দিবাগত রাতে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে বুধবার ভোর ৫ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দ্বীপ।
দ্বীপ ফেসবুকে পারিবারিক বিভিন্ন ইস্যুতে হাস্যরসাত্মক কনটেন্ট তৈরি করতেন। তাতে দ্বীপের সাথে তার মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও অংশ নিতে দেখা যেতো। হাস্যরসাত্মক এসব ভিডিও করে জনপ্রিয়তা পান তিনি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host