ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৩৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিশ্বনাথ
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌরসভা মিলিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা মোট ১৩৩ টি। উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩৩টির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের শুন্য পদ রয়েছে ৫০ টি। ৮৩টি স্কুলে ভারপ্রাপ্ত সহ প্রধান শিক্ষক থাকলেও বাকী স্কুল গুলো প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে বছরের পর বছর।
এছাড়া উপজেলার সবকটি স্কুলে সহকারী শিক্ষকের মোট পদ সংখ্যা ৬৬২ জনের হলেও কর্মরত আছেন ৬২৬ জন শিক্ষক। ৩৬টি সহকারী শিক্ষকের পদও খালি রয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের শুন্য পদগুলোতে কবে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহিন মাহবুব এর নিকট শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি শুনান অবাক করা আরেক কাণ্ড। তিনি জানান, খোদ উপজেলা শিক্ষা অফিসে কর্মকর্তা কর্মচারী সংকট রয়েছে কয়েক বছর ধরে। ১৩৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেখভাল করার জন্য উপজেলা পর্যায়ে প্রধান অফিসার পদ ছাড়া সহকারী শিক্ষা অফিসারের পদ রয়েছে মোট ৭ টি। কিন্তু ৫ টি পদ-ই পড়ে আছে খালি। ২ জন সহকারী শিক্ষা অফিসার নিয়ে চলছে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা।
এছাড়া শিক্ষা অফিসে উচ্চমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ১জন, নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ১ জন হিসাব সহকারী ১ জন ও অফিস সহায়ক ১ জনের পদ শুন্য থাকায় লোকবলের অভাবে চরম কর্মব্যস্ততায় তাদের দিন পার হয়।
প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ উপজেলায় শিক্ষক সংকটের কারণে প্রাথমিক শিক্ষার মান দিনদিন নাজুক পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে দাবী ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকদের। শিক্ষক সংকট সমাধান, শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বিপর্যয় রোধে দ্রুত শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবী জানান, খাজাঞ্চি ইউনিয়নের কান্দিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রের অভিভাবক নুরুজ আলী, রামপাশা ইউনিয়নে পাঠাকইন মনোহর পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রের অভিভাবক পিটিয়ে কমিটির সভাপতি আলী হোসেন সহ একাধিক অভিভাবক।
বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শুন্য পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে সহকারী শিক্ষা অফিসার নিয়োগের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহীন মাহবুব জানান, এ ব্যাপাটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অভিহিত করা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেবেন আশা করছি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host