ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:২৩ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০১৯
কানাইঘাট সংবাদদাতা
কানাইঘাট উপজেলায় সরকারি জমি ভরাট করে কৃষি জমিতে রূপান্তর করা হয়েছে। এতে চলমান বৃষ্টি ও জমে থাকা পানি নিষ্কাশন না হওয়াতে চারদিকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন উপজেলা কয়েক হাজার মানুষ।
কানাইঘাট উপজেলার ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির ভাল্লুক মারা গ্রামে এই আইন বিরোধী ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রাচীনতম এই গ্রামটির মধ্যবর্তী জায়গায় ভাল্লুকমারা সংলগ্ন একটি গ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারের খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত খালটি ভরা করা হয়েছে। যার বর্তমান দাগ ১৫৬। ৪০ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট খালটি ৪/৫ কিলোমিটার লম্বিত হয়ে দেওছই নদীতে এসে মিলিত হয়েছে। বর্তমান ৪নং দাগ থেকে শুরু হয়ে ৭২৬ নং দাগ স্পর্শ করে ওই দেওছই নদীতে এসে মিলিত হয়। এই খাল দিয়ে অত্র অঞ্চলের বৃষ্টির পানিসহ জমে থাকা পানি খুব সহজে দেওছই নদীতে নিষ্কাশন হত। কিন্তু পানি নিষ্কাশনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এলাকার একদল প্রভাবশালী।
স্থানীয়রা জানান, ভাল্লুক মারা গ্রামের মৃত তাহির আলীর পুত্র আলাউদ্দিন গংরা তাদের নিজ ব্যক্তি স্বার্থ সিদ্ধির লক্ষ্যে খালে মাটি ভরাট করে কয়েক বিঘা ক্ষেতের জমি আবাদ করে তাতে ধান্য চাষ করেছেন। তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে এমন আইন বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে দিন দিন ভাল্লুকমারা সংলগ্ন, ডাক্তার টিল্লা, সোনারখেওড় সিংদোয়ারসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রামবাসী প্রতিবাদী হয়ে ওঠায় যেকোন সময় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে, শীঘ্রই প্রাচীনতম ভাল্লুকমারা খালটি পুনঃখননে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন গ্রামবাসী।
পানি নিষ্কাশনের খাল ভরাট করে ক্ষেতের জমি সৃষ্টি করাতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাবুল আহমদ আলী, আব্দুর রহিম, নিজাম উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, আবু তাহের, আলহাজ্ব ফয়জুর রহমান, আব্দুল আহাদ, ওহাব আলী, হাফিজ আহমদ, মইনুদ্দিন, আব্দুর রশিদ, মুহিব উদ্দিনসহ গ্রামের অনেকেই।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host