কানাইঘাটে ভারতীয় মহিষের হামলায় ৬ জন গুরুতর

প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০১৯

কানাইঘাটে ভারতীয় মহিষের হামলায় ৬ জন গুরুতর

কানাইঘাট প্রতিনিধি
কানাইঘাটে ভারতীয় একটি মহিষের আক্রমণে মহিলা ও শিশুসহ ৬ জন পথচারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে সিওমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঘটনাটি বুধবার সকাল ৯টায় উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির বাংলাটিলা গ্রামে ঘটে। এরপর স্থানীয় লোকজন মহিষটিকে আটক করেন। খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিষটি উদ্ধার করে। পরে উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মহিষটি পরীক্ষা করে বীষযুক্ত হয়ে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত্র হওয়ায় তাকে জবাই করে মাটিতে পুঁতে রাখেন।

জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লোভাছড়া এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চোরাই গরু মহিষ ব্যবসায়ী চক্র রাতের আধারে স্থানীয় বাংলাটিলার হুনামিয়ার পুত্র জামাল উদ্দিনের সহযোগিতায় বুধবার গভীর রাতে ২৫/৩০টি গরু ও মহিষ সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাটিলায় নিয়ে আসে। এসময় একটি মহিষ রাতের অন্ধকারে ছুটে গিয়ে টিলায় আটকে পড়ে। সকালে বাংলাটিলা গ্রামের জামাল মহিষটি খুঁজে বের করে সড়কের বাজার নিয়ে যাওয়ার সময় মহিষটি পাগল হয়ে স্থানীয় মহিলা শিশুসহ ৬ জন পথচারীর উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।

আহতরা হলেন- কোনাপাড়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের পুত্র বাবুল আহমদ (৩০), ডাউকেরগুল গ্রামের ফুলমিয়ার পুত্র শামিম আহমদ (২৫), কান্দলা গ্রামের মিস্টারের পুত্র আব্দুল জব্বার (৪৫), ডাউকেরগুল গ্রামের ফুল মিয়ার পুত্র সাহাব উদ্দিন (২৫), বাংলাটিলা গ্রামের আমির আলীর পুত্র জাকারিয়া (৩০), বাংলাটিলা গ্রামের গফুর মিয়ার স্ত্রী সুহানা বেগম (২৫), একই গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে তানহা বেগম (১০)।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে একটি চোরাকারবারী চক্র ভারতীয় গরু মহিষকে বিষাক্ত মদ পান করিয়ে পাগল করে সীমান্তের এপার থেকে অপারে নিয়ে আসে। মদ পান করিয়ে পাগল করার পেছনে রয়েছে দ্রুত সীমান্ত অতিক্রম করে পাহাড়ি টিলা বেয়ে তাদের সমতলে নিয়ে আসা। বুধবারের এ গরু মহিষগুলোর মূল মালিক ছিলেন সড়কের বাজার এলাকার দিঘীরপার গ্রামের কামাল উদ্দিন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এদিকে কানাইঘাট উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ভারতীয় একটি মহিষ স্থানীয় চোরাকারবারিদের সহযোগিতায় দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। মহিষটি পাগল হয়ে স্থানীয় ৬/৭জন লোককে আহত করে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিষটি পরীক্ষা নীরিক্ষা করি। মহিষটি বিষযুক্ত কিছু খেয়ে অথবা কুকুরে কামড়ানোর কারণে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে পাগল হয়ে আছে মর্মে নিশ্চিত হই। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মহিষটি জবাই করে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর