বিএনপি’র মহাসমাবেশ  : গ্রেফতার ১৮

প্রকাশিত: ৩:২২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯

বিএনপি’র মহাসমাবেশ  : গ্রেফতার ১৮

নিজস্ব প্রতিবেদন ::
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবীদাওয়া নিয়ে দেশের বিভাগীয় শহরে চলছে বিএনপির সমাবেশ। চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনার পর আজ মঙ্গলবার সিলেটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় মহাসমাবেশ। সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করলেও সোমবার পর্যন্ত মহাসমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। অনুমতি না পেলেও বিভাগীয় সমাবেশস্থল ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠ পরিদর্শন করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। সোমবার দুপুর ১টায় দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জীবনের নেতৃৃত্বে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা সমাবেশস্থল সিলেট রেজিষ্টারি মাঠ পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ হক, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, বিএনপি নেতা কয়েস লোদি, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, এমদাদ চৌধুরী, আব্দুল আহাদ খান জামাল প্রমুখ।
গত দশ দিন থেকে বিএনপির নেতা কর্মীরা মহাসমাবেশ সফল করার জন্য চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। নেতাকর্মীরা প্রতিদিন পোস্টার, লিফলেট বিলি করছেন সাধারণ মানুষের মাঝে। নগরীর বিভিন্ন জায়াগায় লাগানো হয়েছে ব্যানার ও ফ্যাস্টুন।
এরই মাঝে রোববার থেকে শুরু হয়েছে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার আতঙ্ক। গোলাপগঞ্জ, জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ১৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও আটকের খবর পাওয়া গেছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামিম বলেন, মহাসমাবেশকে বানচাল করার জন্য আমাদের ১৮ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বিনা কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে সমাবেশ বন্ধ করা যাবেনা।
রোববার লিফলেট বিতরণকালে জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ, ছাত্রদল কর্মী জাকির আহমদ, তারেক ও রাশেদ আহমদকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
অপরদিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ বাজার থেকে দুই বিএনপি নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ নোমান উদ্দিন মুরাদ ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল।
এছাড়া রবিবার রাতে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের চার নেতাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন উপজেলার ছত্তিশ গ্রামের খয়রুল হকের পুত্র চঞ্চল হোসেন (৩৫), বাঘমারার মৃত মুজাম্মেল আলীর পুত্র বাহাউদ্দিন (৩০), ইসলামপুর গ্রমের মৃত লুতফুর রহমানের পুত্র মেহেদি হাসান রাফি (২৯) ও ছত্তিশ গ্রামের সমাই মিয়ার পুত্র শামিম আহমেদ (৪২)।
এ ব্যপারে সিলেট জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান খান বলেন, সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরাই বলতে পারবেন। এ বিষয়ে তিনি অবগত নয় বলে জানান।
এদিকে মঙ্গলবার রেজিষ্টারী মাঠের বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর ব্যাপক ধরপাকড়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। গণগ্রেফতারের নামে হয়রানী বন্ধ করে অবিলম্বে আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীর জানান তারা।রোববার রাতে এক বিবৃতিতে সিলেট জেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, ও সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এর অংশ হিসেবে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা জুড়ে নেতাকর্মীদের উপর গণগ্রেফতার চালানো হচ্ছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর