ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০১৯
বিজয়ের কন্ঠ ডেস্ক :: ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের লিডার সেফ কাস্টডিতে আছেন, নিরাপদে আছেন, শুকরিয়া। বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন নেতা। কারাগারে আছেন। আমরা টেনশন মুক্ত।
রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে কারাবন্দি যুবলীগ নেতার কার্যালয়ে পাশে বিপাশা হোটেলে এমন মন্তব্য করছিলেন সম্রাটের অনুসারীরা।
অভিযানের পর সম্রাটের অফিস বন্ধ করে দেয় র্যাব। তাই সম্রাটের অনুসারীরা কার্যালয়েই সামনে একটি হোটেলে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানেই এ সকল আলোচনা চলছিল। সেখানে কেউ বলছিলেন, ‘ভয়ে ছিলাম। লিডারকে আবার গায়েব করে দেয় কিনা, যাক বাঁচা গেল।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে নিয়ে কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান শেষে যখন কারাগারে উদ্দেশে নেয়া হচ্ছিল, সে সময়বেশকিছু নেতা-কর্মী সম্রাটকে ঘিরে স্লোগান দেয়। তারা সম্রাটকে নিয়ে যেতে দেবে না। হাতকড়া অবস্থায় সম্রাট যখন র্যাব বেষ্টনি অবস্থায় বেরিয়ে যান, তখন তিনি চিৎকার করে হাত উঁচিয়ে তার অনুসারীদের বলেন, ‘‘ষড়যন্ত্র চলছে, হুঁশিয়ার। রাজনীতিকে ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্র চলছে। আপনার হুঁশিয়ার থাকবেন, সাবধান থাকবেন।’
রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে।
সন্ধ্যা ৬ টায় অভিযান শেষ এবং সংবাদ সম্মেলন করা হয় র্যাবের পক্ষ থেকে। র্যাব জানায়, কার্যালয়টি থেকে অবৈধ অস্ত্র, ছয় রাউন্ড গুলি, ম্যাগাজিন, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, বিদেশি মদ, ১১০০ ইয়াবা, নির্যাতন করার ইলেকট্রিক যন্ত্র, চাকু, লাঠি উদ্ধার করা হয়।
বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ৬ মাসের সাজা দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। সে মামলা এখন কারাগারে সম্রাট।
এর আগে ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী আরমানকেও গ্রেফতার করে র্যাব। এদিন যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাদের।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host