ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
ডেস্ক প্রতিবেদন : এক সময় ছিলেন সরকারি অফিসের সামান্য কেরানী। পরে তিনিই নিজেকে কৃষ্ণের দশম অবতার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেন। আয়কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে ভারতের সেই ‘কল্কি বাবার’আশ্রমে এ বার হানা দিলেন দেশটির আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা। উদ্ধার হয়েছে হিসাব বহির্ভূত নগদ ৯৩ কোটি টাকা। সঙ্গে সোনা, হিরা মিলিয়ে ৪০৯ কোটি টাকার সম্পত্তি। খবর আনন্দবাজার প্রত্রিকার। বিজয় কুমার নামে ওই গুরু নিজেকে কলি যুগের কৃষ্ণ বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। আশির দশকের মাঝামাঝি তিনি চাকরি ছেড়ে চিত্তুরে একটি স্কুল খোলেন।
নাম দেন ‘জিবাশ্রম’। তার শিষ্যদের আধ্যাত্মিক পাঠ দিতেন তিনি। ক্রমে তার শিষ্যের সংখ্যা বাড়তে থাকে। চিত্তুরে তিনি ‘ওয়াননেস’ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও খুলে ফেলেন। প্রচুর সেলিব্রিটি এবং বড় ব্যবসায়ীও তার শিষ্য হয়ে যান।
নব্বইয়ে দশকে তিনি নিজেকে কৃষ্ণের দশম অবতার ‘কল্কি’ হিসাবে ঘোষণা করেন। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়–, কর্নাটকে তার প্রচুর আশ্রম রয়েছে।
এ ছাড়া বিদেশেও তার যাতায়াত রয়েছে। বিদেশে অনেক জায়গায় গিয়ে তিনি নিজের মতবাদ প্রচার করে এসেছেন। দেশ-বিদেশে তার যাবতীয় আশ্রমের অ্যাকাউন্ট দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন স্ত্রী পদ্মাবতী এবং ছেলে এনকেভি কৃষ্ণ।
আয়কর দফতর সূত্রে জানা গেছে, তার প্রতিটা আশ্রমেরই হিসাব বহির্ভূত আয় রয়েছে। সেই আয় সরকারের কাছে গোপন রাখা হতো। এই তথ্য হাতে পাওয়ার পরই ১৬ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন আশ্রমে তল্লাশি শুরু করেন আয়কর অফিসাররা।
এসব আশ্রমে ১৮ কোটি টাকার মূল্যের নগদ মার্কিন ডলার উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৮৮ কেজি সোনা, যার মূল্য ২৬ কোটি টাকা এবং ১ হাজার ২৭১ ক্যারাটের হিরা। সব মিলিয়ে মোট ৫০০ কোটি টাকারও বেশি হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন আয়কর অফিসাররা।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host