ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার : রাজনগর উপজেলার মেদীনিমহল গ্রামে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজনগর থানার পুলিশ আদালতের নির্দেশনা জরি করার পরও মানছেনা বাদশা মিয়া। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মেদেনিমহল গ্রামে মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী আলেয়া বেগম(৬০) প্রতিপক্ষ তার ভাসুর আলফি মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া,মিজান মিয়া, বাছিদ মিয়াগংদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে ৩৫৮৬ শতক জমি নিয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলছে।
.
বাদশা মিয়াগং প্রায় সময় আলেয়া বেগমকে শারীরিক, মানসিক ও পরিবেশগত ভাবে নির্যাতন করেছে। এছাড়াও আলেয়া বেগমের ছেলেদের পৈতৃক সম্পত্তির বেশ কিছু জমি দখল করে রেখেছে। ইদানিং আলেয়া বেগমের কাবিন মূলে প্রাপ্ত জমির ১.৪৫ শতক দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি মৌলভীবাজার ম্যাজিষ্ট্রেড আদালতে শান্তি শৃংখলা ভঙ্গ না করার ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য পিটিশন করেন। বিজ্ঞ আদালত শান্তি শৃংখলা বজায় রাখা ও নালিশা ভূমির স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে বাদশা মিয়া গং জমি দখল করার জন্য চেষ্টা করে চলছে। অসহায় আলেয়া বেগম বিচারের আশায় আইনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আলেয়া বেগম অভিযোগ করেন, তার স্বামী মৃত আব্দুর রাজ্জাক বিবাহের ৮/১০ রছর পর শারীরিক ভাবে অসুস্ত হয়ে পড়লে সম্পত্তির লোভে তার ভাসুর মৃত আলফি মিয়া ও তার ভাই-চাচাত্ব ভাইয়েরা মিলে পরিকল্পত ভাবে বিনা চিকিৎসায় ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে আরো মানসিক ভাবে অসুস্থ করে তোলে। তাকে তার ৩ শিশু সন্তান সহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
.
তিনি অসহায় অবস্থায় বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আদালতে তার স্বামীকে চিকিৎসার জন্য উদ্ধারের মামলা করেন। আদালত থেকে রাজনগর থানাকে ভিকটিমকে উদ্ধারের নির্দেশ দিলেও রাজনগর থানা পুলিশ তার স্বামীকে উদ্ধার না করে থানা পুলিশকে দিয়ে বদ্ধ পাগল বলে আদালতে রিপোর্ট দেয়। পরবর্তীতে তার স্বামী বিনা চিকিৎসায় করুণ অবস্তায় মারা যান। বর্তমানে তার ভাসুর পুত্ররা তার স্বামীর অংশের ও তার কাবিননামার বেশী ভাগ জমি দখল করে রেখেছে। বাকি অংশ থেকে তাকে তাড়নোর পায়তারা করছে। বাদশা মিয়াগং তার বসত ঘরের একটি অংশে গরু ছাগল হাঁস মুরগী রেখে পরিবেশ দূষণ করে রেখেছে। ফলে নাতি নাতনি পুত্র বধু ও তাকে ঘরে বসবাসের অযোগ্য করে রেখেছে। তিনি রাজনগর থানা পুলিশের নিকট অভিযোগ করেও কোন ফল পাননি। এব্যাপারে মিজান মিয়াকে জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন, আমার ঘরে বসবাস করে আমার উপর অভিযোগ করছেন। আদালতের নির্দেশ অমান্য করার জবাবে বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশ অমান্য করিনি। জমিতে কাজ কর্ম করার বিষয় কে বা কারা কাজ করছে আমরা বলতে পারবোনা।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host