ঢাকা ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবদক
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ রোধে স্কুল-কলেজ বন্দের চলছে মাস দশমী। এতে করে মূর্খতার বেড়াজালে আবদ্ধ হচ্ছে নতুন প্রজন্ম। স্কুল-কলেজ বলে কথা। শিক্ষ-দীক্ষার জায়গা। মানুষ গড়ার পবিত্র স্থান। সকল প্রকার পাপ-পঙ্কিলতা মুক্ত। এ স্থানগুলোর পবিত্রতা রক্ষায় সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষজন সচেতন। তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে রক্ষা পায় শিক্ষা নিকেতন। খোলা হোক আর বন্দ থাকুক, এগুলোক নজরদারিতে রাখার প্রয়োজন পড়ে না। সাধারন জগগণ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর এই সফেদ-সরল ধারনাকে পুঁজি করে স্কুল-কলেজ ও এর আঙ্গিনাগুলোকে মানুষ নামের এক শ্রেণির পশুরা বানিয়ে ফেলেছে তাদের অপরাধ-অপকর্মের নিরাপদ আস্তানা। এইতো মাস কয়েক আগে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ঘটে গেল এক নববধূকে নারকীয় গণধর্ষণ। ধর্ষক নরপশুরা যদিও পরে চলে যায় লালঘরে।
করোনা রোধে সিলেট নগরের স্কুল-কলেজ দীর্ঘ মেয়াদে বন্দ থাকায় নতুন প্রজন্ম জ্ঞানশৃন্য হয়ে পড়লেও এক শ্রণির মানুষের জীবনে বয়ে এনেছে আর্থিক সাফল্য ও সমৃদ্ধি। তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনাগুলোকে ব্যবহার করে চালিয়ে যাচ্ছে জুয়া খেলার মহোৎসব। মদ ও নারীর দেহ ভোগের জমজমাট ও নিরাপদ আসর। এতে করে এক শ্রণির অসাধু পুলিশ কর্তাব্যক্তিদের জন্য তা হয়ে ওঠেছে পোয়াবারো।
অভিযোগ পাওয়া গেছে-বন্দ থাকার সুযোগে সিলেট নগরের চালিবন্দরস্থ রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলকে বানানো হয়েছে জুয়া ও মদের নিরাপদ আস্তানা। ওই এলাকার কুখ্যাত স্বপন ও নাসির এই স্কুলে স্থায়ীভাবে বসিয়ে রেখেছে জুয়ার বোর্ড।
অন্যদিকে এই এলাকায় অবস্থিত সিলেট ল’ কলেজের পাশেই কুখ্যাত জুয়াড়ী সাইফুলের জুয়ার বোর্ড। এই দু বোর্ড থেকে এসএমপি’র কোতোয়ালি থানার সূবহানীঘাট ফাঁড়ি পুলিশ নিয়মিত বখরা আদায় করে থাকে। পাশপাশি একশ্রেণির অসাধু ফে-বু ও লাইভ ‘সাংবাদিক’রাও এ দু’ স্পট থেকে চাঁদা ও বখরা গ্রহণ করে থাকেন। সোমবার রাতে স্থানীয় একটি প্রিন্ট মিডিয়ার কথিত এক সাংবাদিক বুম নিয়ে হাজির হন সিলেটে ল’কলেজ নিকটবর্তী সাইফুলের জোয়ার বোর্ডে। দাবি করে বসেন ৫ হাজার টাকা। নইলে তিনি ফেইসবুকে লাইভ করবেন বলে হুমকি দেন। তাৎক্ষণিক আরেক সাংবাদিকের মধ্যস্থতায় লাইভ বন্দ থাকে এবং মঙ্গলবার পর্যন্ত বিষয়টি আলোচনার মধ্যেই রাখা হয়। তাই মঙ্গলবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফেইসবুকে লাইভ করা হয়নি সাইফুলের জুয়ার আসসের। ধারনা করা হচ্ছে বড্ড কোন সাংবাদিক নেতার মধ্যস্থতায় সাইফুল এবং ওই লাইভ সাংবাদিকের মধ্যে মঝোতা হয়ে গেছে।
এছাড়াও শক্তিশালী ও নিয়মিত নৈশকালীন প্রহরা না থাকায় সিলেট পাইলট হাইস্কুলের আঙ্গিনা ও চত্তর, রাজা জিসি হাই স্কুল, রসময় স্কুল, জিন্দাবাজার প্রাইমারী স্কুল, দূর্গাকুমার পাঠশালা প্রভৃতি স্কুলের আঙ্গিনা গুলোতে বসানো হয় নিরাপদ তীর জুয়ার বোর্ড। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসবে আরো অনেক স্কুল ও কলেজের আঙ্গিনায় জুয়ার বোর্ড বসানোর তথ্য। এ সব স্কুলে বসানো জুয়ার বোর্ড থেকে স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ আদায় করে থাকে নিয়মিত বখরা। তাই নগরবাসী বন্দ থাকা স্কুল কলেজগুলোর পবিত্রতা রক্ষায় প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host