প্রকৃতির নৈসর্গ সৌন্দর্য্য দেখতে হলে সিলেটে আসতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০১৯

প্রকৃতির নৈসর্গ সৌন্দর্য্য দেখতে হলে সিলেটে আসতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রকৃতির নৈসর্গ সৌন্দর্য্য দেখতে হলে সিলেটে আসতে হবে। সারা দেশের কোথাও এমন সৌন্দর্য্য প্রস্ফুটিত হয় নাই। এখানে জল, মেঘ ও পাহাড়ের বেশ সন্ধি রয়েছে।যা শহরের দালানে বসে সহজে উপভোগ করা যায় না।

মন্ত্রী শুক্রবার চায়ের রাজধানি শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ৩৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও ৭টি আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভ্রমণ করেন। এসময় তিনি প্রকৃতির সৌন্দর্য্যরে কথা তুলে ধরে সিলেট সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এর আমন্ত্রণে শুক্রবার দুপুরে ৫৭জনের একটি ক‚টনীতিক দল শ্রীমঙ্গলে পৌঁছান। আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা শ্রীমঙ্গলের হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান এ অবস্থান করছেন। শুক্রবার দুপুরে শ্রীমঙ্গলে পৌঁছে তারা একটি চা বাগান ও মণিপুরী পাড়া ঘুরে দেখেন। এ সময় তাদেরকে মনিপুরি নৃত্যে ও ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।

ভ্রমণদলে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ভারত, স্পেন, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরসহ ৩৫টি দেশের রাষ্টদূত ও তাদের পরিবারে সদস্যরা রয়েছেন।

এ সময় প্রেসব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এক অপরূপ সুন্দর একটি দেশ। ঢাকায় বসে বাংলাদেশের এই সৌন্দর্য্য অনুমান করা যায় না। তাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশের এই নৈসর্গিক এলাকায় নিয়ে এসেছি। এখানের সৌন্দর্য্য দেখে তারা অভিভূত হয়েছেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে নিজেদের দেশে ফেরত যায় সে ব্যাপারে আমরা সব ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। রোহিঙ্গারা যাতে তাদের এলাকা ছেড়ে না যায় সে ব্যবস্থাও নিচ্ছি৷

তিনি বলেন, মূল সমস্যাটি হচ্ছে এই ১২ ল রোহিঙ্গার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা৷ আগে অনেক বৈদেশিক সাহায্য আসত এখন সেটা অনেক কমে গেছে৷ সামনের বৃষ্টির মৌসুমে ভূমিধস হয় তখন তাদের কিভাবে নিরাপদে রাখব সেটা নিয়ে আমরা চিন্তিত৷

রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শিশুদের বাংলা শিখিয়ে তো লাভ নেই, একদিন তো তারা নিজেদের দেশ মায়ানমারে ফিরে যাবে সেখানে তারা তাদের নিজেদের ভাষায় শিতি হবে৷

ক‚টনীতিক দলের এই ভ্রমণকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিñিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, অতিথিদের ভ্রমণ আনন্দময় ও নিরাপদ রাখতে শ্রীমঙ্গলসহ আশপাশ এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। আবাসনস্থল, যাত্রাপথসহ সব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর