ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদন
কমলগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। রোববার বেলা দেড়টার দিকে শুরু হওয়া ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ১০মিনিট। এই অল্প সময়ের তাণ্ডবে উপজেলার প্রায় ২ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
সেই সাথে কমলগঞ্জ-কুলাউড়া সড়কে শমশেরনগর এয়ারপোর্ট রোডে প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ ও লাউয়াছড়া পাহাড়ে রেল লাইনের উপর গাছ উপড়ে পড়াতে রেল যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ এর ১১ কেভির প্রায় ১০০টি স্থানে গাছ ভেঙে পড়ায় লাইন ছিড়ে যাওয়াতে উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সংবাদ সূত্র জানায়, ঝড়ে উপজেলার পতনউষার, শমশেরনগর, মুন্সিবাজার ও পৌরসভার এলাকায় দুইশতাধিক ঘর বিধস্ত হয়েছে। পতনউষার ইউনিয়নে পতনউষার, শ্রীরামপুর, চন্দ্রপুর, ধোপাটিলা, রসুলপুর, বৃন্দাবনপুর, দক্ষিণপল্কীসহ ১০টি গ্রামের বাড়িঘর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপড়ে পড়েছে হাজারো গাছ পালা। যার ফলে কমলগঞ্জ-কুলাউড়া সড়কে শমশেরনগর এয়ারপোর্ট রোডে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। একই কারণে রেল যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে এই এলাকায়। ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ও সিলেটগামী আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন শ্রীমঙ্গল ও কুলাউড়া স্টেশনে আটকা পড়েছে।
এদিকে বিদ্যুৎ লাইন বিপর্যস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎহীন রয়েছে পুরো কমলগঞ্জ। এছাড়া বজ্রপাতে পতনঊষার ইউনিয়নে এক কৃষকের ৪০ হাজার টাকার মহিষ মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। ঝড়ের সাথে বিকট শব্দের বজ্রপাতে উপজেলাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
রোববার বিকেলে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পতনঊষার ও শমশেরনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
পতনউষার ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নারায়ন মল্লিক সাগর জানান, তার ইউনিয়নে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় দুইশত বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত ও কোটি টাকার গাছপালার ক্ষতিসাধিত হয়েছে। তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। ঝড়ে ঘর বিধস্ত হওয়ায় খোলা আকাশে বসবাস করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রীমঙ্গল জোনের উপসহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন জানান, রেল লাইনের উপর গাছ ভেঙে পড়ায় রেল চলাচল বন্ধ আছে।
কমলগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মোবারক হোসেন জানান, ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। প্রায় শতাধিক স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে ১ দিন লেগে যাবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমর্কতা মো. আছাদুজ্জামান বলেন, সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছি। ঘরের তালিকা দেয়ার জন্য চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সুমি আক্তার বলেন, বিষয়টি সর্ম্পকে আমি অবগত আছি। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা আসলে পরে ব্যবস্থা করা হবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host