ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০১৯
কুলাউড়া প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে পানি পান করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে পঞ্চম শ্রেণির (১৪) এক ছাত্রী।
জানা যায়, উপজেলার পৃথিমপাশার একটি বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথিমধ্যে পানির পিপাসা পায় ওই ছাত্রীর। ওই ইউনিয়নের গণকিয়া গ্রামের হারিছ আলীর বাড়িতে পানি পান করতে গেলে হারিছ আলীর ছেলে আহাদ মিয়া তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর মা একই ইউনিয়নের গণকিয়া গ্রামের হারিছ আলীর পুত্র সিএনজি অটোরকিশা চালক আহাদ মিয়াকে (২৩) আসামী করে কুলাউড়া থানায় গত ১৪ জুলাই রাতে ধর্ষণ মামলা নং ১৬ দায়ের করেন। তবে, এ ঘটনায় আসামী আহাদ মিয়াকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার দিন গত ১৯ জুন বিদ্যালয় থেকে বিকেল ৩টার দিকে বাড়ির ফিরছিলো ওই কিশোরী। পথিমধ্যে পানির তৃষ্ণা পেলে সে গণকিয়া গ্রামের হারিছ আলীর বাড়িতে যায়। হারিছ আলীর পুত্রবধূ তাকে পানি দিয়ে বাসন ধোয়ার জন্য বাহিরে চলে যান। সেই সুযোগে আহাদ মিয়া তাকে একা ঘরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাড়ি ফিরে ওই কিশোরী তার মাকে বিষয়টি খুলে বললে তিনি হারিছ আলীর কাছে বিচারপ্রার্থী হন। হারীছ আলী বিষয়টি পারিবারিক সমাধানের চেষ্টা করেন এবং সময়ক্ষেপণ করেন। পরে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, ধর্ষক আহাদ মিয়াকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ তার অবস্থান জানতে চেষ্টা করছে। খুব শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host