ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:১৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০১৯
কুলাউড়া প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ১০টাকার প্রলোভন দেখিয়ে এক চা শ্রমিক কন্যাকে (৮) ধর্ষণের চেষ্টা করেছে একসন্তানের জনক। এ শিশুটির মা বাদি হয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি চা বাগানের বস্তিতে ১০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে চা শ্রমিক কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে প্রতিবেশী এক সন্তানের জনক। বিষয়টি জানতে পেরে ১৫ জুলাই রাতে চা শ্রমিক কন্যার মা চা বাগান বস্তির বাসিন্দা প্রেমা রাজভরের পুত্র খোকন রাজভরকে আসামী করে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা নং ১৭ দায়ের করেন। তবে পুলিশ এখনো অপরাধী খোকন রাজভরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি চা বাগান বস্তিতে স্বামী ও বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণিতে পড়–য়া শিশু কন্যা এবং ৩ বছরের শিশু পুত্রকে নিয়ে বসবাস করছেন এক চা শ্রমিক নারী। ঘটনার দিন শুক্রবার শিশু মেয়ে ও পুত্রকে ঘরে রেখে বাবা-মা বাগানে চলে যান। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশী খোকন শিশু কন্যাটিকে ১০টাকা দিবে বলে তার ঘরে ডেকে নেয়। পরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় খোকনের স্ত্রী বাগানের কাজে বাহিরে ছিল। মেয়ের মুখ থেকে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার কথা শুনে কুলাউড়া থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা নং ১৭ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় গত রোববার স্থানীয় ইউপি মেম্বার রামবিলাস দুসাধ নানকার বাড়িতে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অশোক কুমার ও স্থানীয় মহিলা ইউপি মেম্বার বৃন্দারাণীর উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক বসে। সালিশে খোকনের মা চাঁনমনি ভিকটিমের দায়িত্ব ও প্রাপ্তবয়স হলে বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য বলেন, আমাকে রোববার দুপুরে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অশোক কুমার বাবলু ঘটনাটি জানান এবং ইউপি মেম্বার রামবিলাস দুসাধ নানকার বাড়িতে বৈঠকে যাওয়ার জন্য বলেন। আমি সেখানে গিয়ে দেখি দুসাধ নানকার ও অশোক কুমার বাবলু’র উপস্থিতিতে খোকনের মা চাঁনমনি ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ওই শিশুর মা বাবার সাথে আপোষের চেষ্টা করছেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায় এবং ভিকটিম শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রামবিলাস দুসাধ নানকার বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে রোববার খোকনের মা ও ওই শিশুর মা বাবাকে নিয়ে বৈঠকে বসি। বৈঠকে ধর্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত হতে নারী দিয়ে ওই শিশুকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করাই। এসময় খোকনের মা ও পরিবার শিশুটির দায়িত্ব নিয়ে বিষয়টি আপোষের কথা জানান। ভিকটিমের মা বাবাও আপোষের জন্য রাজি হন। কিন্তু বিষয়টি ধর্ষণ সংক্রান্ত হওয়ায় তা আইনী প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করতে হবে বলে তাদেরকে বুঝিয়েছি।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, অভিযুক্ত খোকন রাজভরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host