লাউয়াছড়ার বনে আগুনের ঘটনায় বন বিভাগের তদন্ত

প্রকাশিত: ৬:৩০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২০

লাউয়াছড়ার বনে আগুনের ঘটনায় বন বিভাগের তদন্ত

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বালিগাঁও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন বনের এক অংশে মঙ্গলবার দুপুরে দৃবৃর্ত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। ৬ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে লেলিহান শিকায় বনের প্রায় ৩ একর গাছ গাছালি লতাপাতা পুড়ে গেছে। আগুনের ঘটনায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মৌখিক নির্দেশনায় তদন্ত শুরুর করেছে লাউয়াছড়া প্রকৃতি বন্যপ্রাণী ও সংরক্ষণ বন বিভাগ।
.
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, দৃর্বৃত্তদের আগুনে টিলার বিভিন্ন স্থানে আগুনের ধোয়া উড়ছে। প্রায় ৩ একর এলাকায় ব্যাপকভাবে বাঁশ, লতা ও গুল্ম জাতীয় ছোট আকারের গাছ-গাছালি পুড়ে গেছে। টিলায় টিলায় পোড়া দাগ দেখা গেছে।
.
বনবিভাগ লোকজন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনলে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ছড়িয়ে পড়ত।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাবুদ্দীন আহমেদ বিষয়টি তদন্ত করা নির্দেশ দেয়ায় সকালে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন নেতৃত্বে একটি টিম সরেজমিনে এসে আগুনের কারন তদন্ত করেছে। এ সময় লাউয়াছড়া বনবিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ও হীড বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত টিম ঘুরে ঘুরে পুড়া বন দেখেন এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন।
.
লাউয়াছড়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়টি সচিত্র দেখে বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরির্বতন বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দীন সরেজমিন তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেয়ায় তদন্ত করা হচ্ছে। বনে বাঁশ, লতা ও গুল্ম জাতীয় ছোট আকারের গাছ গাছালি পুড়ে গেছে। ধারণা করা যাচ্ছে আগুনে কিছু বন্য শুকরের বাচ্চা পুড়ে মরেছে।
.
হীড বাংলাদেশ কমলগঞ্জের লিয়াজো অফিসার নুরে আলম সিদ্দিক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভুমিতে হীডের কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধ ভাবে ভূমি দখলের পায়তারা করছে। তিনি মনে করেন এই চক্রটি আগুন লাগিয়েছে।
.
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো:মাহমুদুল আলম ভুইয়া বলেন, আমরা বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানিয়েছে।
.
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, এখানকার ১৮৯ একর ভূমির মধ্যে মাত্র ৭৫ একর ভূমির সঠিক কাগজপত্র আছে। বাকী ভূমির কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। এ সুযোগেই ভূমি দখলে ভূমিদস্যূরা মঙ্গলবার পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগাতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তদন্তকালে আগুন লাগানোর সঠিক প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর