ঢাকা ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অনেক আগ থেকেই ছিলো ঝুঁকিপূর্ণ। তবে আশার আলো জ্বালিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। ঝুঁকি মোকাবেলায় সকল প্রকার প্রস্তুত রয়েছে- এমন বুলি আওড়িয়ে আসলেও সময়কালে এসে সবই ফাঁকা বুলি বলে প্রমাণীত হয়েছে।
সিলেটে করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগীর চিকিৎসা নিয়ে এমন প্রশ্ন এখন সারা সিলেটে। করোনায় আক্রান্ত সেই ডাক্তারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠিয়ে দেয়াতে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে এই প্রশ্নের উদ্রেক হয়।
এদিকে ডক্টর এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. শাকিলুর রহমান এক আহবান জানিয়ে তার ফেসবুকে আজ বুধবার (৮ এপ্রিল) একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে তিনি সিলেটে চিকিৎসা সরঞ্জাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, সিলেটে এই মুহূর্তে উচিৎ সরকার, প্রশাসন ও স্থানীয় ওথরিটির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫০টি ভেন্টিলেটর সমৃদ্ধ করোনা আইসোলেশন সাপোর্ট সেন্টার নামে সম্পূর্ণ আলাদা একটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরী করা। অন্যথায় করোনায় আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া প্রায় অসম্ভব।
তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত সিলেটের চিকিৎসককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেটর সমৃদ্ধ ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আজ বুধবার।
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তাহলে কি আগামী কয়েক দিন পর ভেন্টিলেটরের অভাবে সিলেটে মারা যাবে করোনায় আক্রান্ত মানুষ? এই স্ট্যাটাসের মধ্যেই ফোটে উঠেছে সিলেটের করোনা মোকাবেলায় সর্বশেষ পরিস্থিতি।
করোনার প্রথম রোগিকে ঢাকায় পাঠানোর কারণে বলা যায় সিলেটের করোনার চিকিৎসা সরঞ্জাম অপ্রতুল। যা দিয়ে বড় ধাক্কা সামলানো যাবে না। এখন দাবি উঠেছে সময়ের আগেই যদি করোনার চিকিৎসার দৈন্যদশা কাটানো না যায় তবে পরবর্তী পরস্থিতির দায় নেবে কারা ? এ অবস্থায় সিলেটের মানুষের জীবন রক্ষায় দ্রুত সময়ে চিকিৎসা সরঞ্জামসহ করোনা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন এবং সংশ্লিষ্টদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host