বিএনপির মধ্যস্থতায় যুক্ত হলো ১৫ সংগঠন
‘সমমনা গণতান্ত্রিক জোট’র আত্মপ্রকাশ

প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২৩

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>বিএনপির মধ্যস্থতায় যুক্ত হলো ১৫ সংগঠন</span> <br/> ‘সমমনা গণতান্ত্রিক জোট’র আত্মপ্রকাশ

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নিতে দলটির মধ্যস্থতায় ১৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে ‘সমমনা গণতান্ত্রিক জোট’ নামে নতুন একটি জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। রোববার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নতুন জোটের ঘোষণা দেন।
নতুন জোটের ১৫টি সংগঠন হলো- ইয়ুথ ফোরাম (সভাপতি সাইদুর রহমান), জিয়া নাগরিক সংসদ (সভাপতি অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন মজুমদার), ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (সভাপতি আজিজুল হাই সোহাগ), শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদ (সভাপতি আবু ইউসুফ সরকার), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল (সভাপতি পীরজাদা ওমর ফারুক), বাংলাদেশ জাস্টিজ পার্টি (সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম), সংবিধান সংরক্ষণ পরিষদ (সভাপতি আতিকুর রহমান), গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চ (সভাপতি মনোয়ার হোসেন বেগ), জাতীয়তাবাদী চালক দল (সভাপতি মো. শাহজাহান), জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা ৭১ (সভাপতি আনসার রহমান শিকদার), ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ (সভাপতি কাদের সিদ্দিকী), মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি (সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ), বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল (সভাপতি বাহাদুর আহমেদ পিন্টু), দেশ রক্ষা মানুষ বাঁচাও আন্দোলন (সভাপতি আজিজা সুলতানা) ও বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ (সভাপতি মো. ওমর ফারুক)।
জোটের প্রধান সমন্নয়কারীর দায়িত্ব পেয়েছেন ইয়ুথ ফোরাম সভাপতি মো. সাইদুর রহমান।
সমমনা গণতান্ত্রিক জোটের আত্মপ্রকাশকে অভিনন্দন জানিয়ে টুকু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বপ্ন দেখিয়েছিল সেটি হচ্ছে গণতন্ত্র। আমি আমার ভোট দিয়েছি, সেই ভোটের মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, এই আন্দোলনের মাঝপথ থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ২০২৩ সালে যদি এ সরকারকে বিদায় করা না যায় তাহলে সমস্যা হবে। ছলে বলে কৌশলে সরকার ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবে। ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে।
এসময় তিনি সরকারবিরোধী আন্দোলনে জোটভুক্ত সংগঠনসমূহকে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান।
তৎকালীন পাকিস্তান সরকার জনগণের ভোটের মূল্যায়ন না করায় পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ বিপ্লব ঘটিয়েছিল উল্লেখ করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি, কিন্তু এখন বাংলাদেশের গুটি কয়েক শ্রেণির লোক দেশে শাসন ব্যবস্থাকে গ্রাস করছে এবং তারা যা চাচ্ছে তা-ই করছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা ১৫৪টি আসনে ভোট ছাড়া নির্বাচিত হয়ে যান এবং দিনের ভোট রাতে করে থাকেন। আর বৃদ্ধ লোকজনকে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করে, গুলি করে এবং মামলা দেয়। এমন একটি অভিজ্ঞতার পরে বাংলাদেশের কোন মানুষ চায় না আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হোক। তারা যতই কথা বলুক না কেন নির্বাচন তাদের অধীনে সুষ্ঠু হবে না। তার আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, এবার হয়তো দিনের ভোট রাতে হবে না, দিনের ভোট হয়তো দিনেই হবে। তবে অন্য কোনো কৌশলে সেটি হবে। ইভিএম না হলে অন্য কিছু করবে তারা। তবে জনগণ যেন অবাধে ভোট দিতে না পারে সেজন্য সরকার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানসহ জোট নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর