জালিয়াতি করে বাঁধের ১৫ লাখ টাকা উত্তোলন

প্রকাশিত: ৮:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২৫

জালিয়াতি করে বাঁধের ১৫ লাখ টাকা উত্তোলন

ছাতক প্রতিনিধি
ছাতকে হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে দুই ব্যক্তির নাম ও স্বাক্ষর জাল করে প্রায় ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার চাউলির হাওরের ১৭ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) সদস্য পদে নাম ব্যবহার করা দুই ব্যক্তি।
অভিযোগকারীরা হলেন- জাউয়া বাজার ইউনিয়নের জাউয়া গ্রামের আবুল খয়ের ও শোয়েব আহমেদ।
১৭ নম্বর পিআইসির সভাপতি কয়েছ আহমদ পীর ও সদস্য সচিব এহসানুল হকের বাড়িও জাউয়া গ্রামে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এর কাবিটা প্রকল্পের উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের চাউলির হাওরের বিনন্দপুর, কোনাপাড়া, বড়বিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পটির কাজ ৯৭১ মিটার ডুবন্ত বাঁধের ভাঙন প্রতিরোধ ও মেরামত করা।
আবুল খয়ের ও শোয়েব আহমেদ লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তারা প্রকল্প সম্পর্কে অবগত নন এবং কোনো কাগজে স্বাক্ষর দেননি। জালিয়াতি করে ১৭ নম্বর প্রকল্প কমিটির তালিকায় তাদের নাম ৪ ও ৫ নম্বর সদস্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং তাদের স্বাক্ষর জাল করে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৯২.৮২ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বাস্তবে প্রকল্পের কাজ হয়নি এবং কোথাও কোনো মাটি ভরাট হয়নি। তারা কেউ পিআইসির কোনো বৈঠকে অংশ নেননি বা কোনো বিল-ভাউচারে স্বাক্ষর দেননি।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, পিআইসির সদস্য সচিব এহসানুল হক ও ৬ নম্বর সদস্য রেদওয়ানুল হক ফাহিম দু’জনই আপন ভাই এবং প্রকৃত পরিচয় গোপন করে একজনকে কৃষক ও অন্যজনকে ইমাম দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে একজন ফার্মেসি ব্যবসায়ী, অন্যজন কখনো কোনো মসজিদের ইমাম নয়।
এ বিষয়ে ১৭ নম্বর পিআইসি সভাপতি কয়েছ আহমদ পীর অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, কি অভিযোগ করা হয়েছে জানি না। যারা অভিযোগ করেছেন তারা সবকিছু জানেন এবং সকল কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। তাদের কাছে জানতে চাইব, কেন এমন অভিযোগ করলেন।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন,্ রবিবার আমি সুনামগঞ্জে মিটিং—এ ছিলাম, অভিযোগগুলো দেখিনি। হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ ভালো হয়েছে, ফসল নিরাপদে গোলায় উঠেছে। অভিযোগগুলো দেখে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর