ঢাকা ৩১শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২৫
শাল্লা প্রতিনিধি
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তি না করেই জাল ছাড়পত্র তৈরি করে মামলা দায়ের করেন রফিক মিয়া। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে কোনোরূপ ঝগড়া বা মারামারি ছাড়াই নিজের ভাতিজাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি দেখিয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। অতঃপর দীর্ঘ তদন্তের পর হাসপাতালে ভর্তি ও ছাড়পত্রের বিষয়টি ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় বাদীকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। ঘটনাটি সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৫ মে কোনোরূপ মারামারির ঘটনা ছাড়াই ১৫ জুন ১০ জনকে আসামি করে শাল্লা আমল গ্রহণকারী মেজিস্ট্রেট আদালতে (সিআর ৭৫/২৩) মামলা দায়ের করেন রফিক মিয়া। মামলা দায়েরের সাথে মেডিকেলের কাগজপত্র সংযুক্ত থাকায় বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
এরপর ২৪ জুন মামলাটি শাল্লা থানায় (জিআর ০২/৪১) রেকর্ডভুক্ত হয়। পরবর্তীতে তদন্তে ছাড়পত্রের বিষয়টি জাল প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বিপিএম।
এরই প্রেক্ষিতে ১১ ফেব্রুয়ারি’২৫ তারিখে মামলাটি আদালতে চূড়ান্ত শুনানি ও তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আসামিগণকে মুক্তি প্রদান করা হয়।
এদিকে ভাতিজা মেজবাকে আহত উল্লেখ করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও জাল ছাড়পত্র সৃষ্টি করে আদালতের সাথে প্রতারণা ও ফায়দা হাসিলের অপরাধে বাদী রফিক মিয়ার বিরুদ্ধে পেনাল কোডে ১৯৩/১৯৫/২১১/৪৬৬/৪৬৮/৪৭৪/ ধারায় মামলা রুজু করার জন্য চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বিঞ্জ আমল গ্রহণকারী আদালত, সদর সুনামগঞ্জ বরাবর প্রেরণ করেন। পরে ওই অপরাধে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host