ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদন
সিলেট কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিার্থী ওয়াসিমের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ দিয়েছেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ বাহাউদ্দিন কাজী।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ঘোরী মো. ওয়াসিম আব্বাসের লাশ ময়নাতদন্ত না করেই দাফন করে তাঁর পরিবার। সুষ্ঠ তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আদালত এ নির্দেশ দেন। ময়নাতদন্তের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। ময়নাতদন্ত শেষে সমস্ত কাজের সমন্বয় করে আদালতকে অবহিত করতেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই গিয়াস উদ্দিন খানের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদসূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহম্মদ জানান, ৫ দিনের রিমান্ড শেষে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন উদার পরিবহনের বাস চালক জুয়েল আহমদ, হেলপার মাসুক মিয়া।
উল্লেখ্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ওয়াসিমকে গত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজারের শেরপুর এলাকায় বাস চাপায় মারা যান। ওই বাসের হেল্পার তাকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন সিকৃবির শিক্ষার্থীরা।
গত ২৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডু বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় উদার পরিবহনের চালক জুয়েল, হেলপার মাসুক ও সুপার ভাইজার সেফুল মিয়াকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা। এ ঘটনায় চালক ও হেল্পার গ্রেপ্তার হলেও বাসের সুপার ভাইজার এখনও পলাতক রয়েছেন।
ওয়াসিম হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার রুদ্র গ্রামের মো. আবু জাহেদ মাহবুব ও ডা. মীনা পারভিনের একমাত্র পুত্র। নিহতের পরই এ ঘটনায় মামলা দায়েরে অনাগ্রহ প্রকাশ করে ওয়াসিমের পরিবার। ময়নাতদন্ত ছাড়াই কর্তৃপরে অনুমতি নিয়ে লাশ দাফন করে পরিবার।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host