সিলেট থেকে শুরু হবে পর্যটন শিল্প উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞ

প্রকাশিত: ২:০৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০১৯

সিলেট থেকে শুরু হবে পর্যটন শিল্প উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞ

নিজস্ব প্রতিবেদন: বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, পর্যটনের কোন বাজেট নেই। টাকার কোন সমস্যা নেই। পরিকল্পনা গ্রহণ শেষে সিলেট থেকে শুরু হবে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে পর্যটন উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, পর্যটন উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মাস্টার প্ল্যান নিয়েছেন। কনসালটেন্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই গ্রুপে ব্রিটিশ, ফরাসি ও দেশীয় বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। তারা পুরো দেশ ঘুরে পর্যটন এর উন্নয়নের একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করবেন। সিলেট সার্কিট হাউসে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রাণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক। সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী এবং সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।
.
মন্ত্রী বলেন, সারা দেশের ভ্রমণপ্রিয় মানুষ সিলেটের দিকে তাকিয়ে। সিলেট এমন এক অঞ্চল যেখানে পাহাড়, নদী, হাওর, চা বাগান, বাউল গান, ঐতিহ্য সবকিছু আছে। যে কোন পর্যটককে পরিতৃপ্তির পূর্ণাঙ্গতা দেয়ার অবস্থা সিলেটে বিদ্যমান। তিনি জানান, ছাদ খোলা দুতলা পর্যটন বাস চালুর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে এবং সিলেট থেকেই এই পর্যটন বাস সার্ভিস শুরু হবে। এতে মানুষের মধ্যেও এক ধরণের উৎসাহ সৃষ্টি হবে যা পর্যটন বিকাশে সহায়ক হবে। পর্যটন কর্পোরেশন বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, বৃটেন, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের পর্যটনে কাজ করার জন্য প্রস্তাব আসছে। তাদের নিয়ে সমন্বিভাবে পর্যটন নিয়ে কাজ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, লন্ডনের পথে ৮০/৯০ ভাগ যাত্রী সিলেটের প্রবাসীরা। সিলেটের প্রবাসী বেশি এবং তারা দেশে-বিদেশে ভ্রমন করে তাই প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে এই মন্ত্রনালয় আমাদের দিয়েছেন। সিলেট এয়ারপোর্টের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী এপ্রিলে সিলেট থেকে সরাসরি লন্ডন ফ্লাইট চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
.
এই মুহূর্তে সিলেটের পর্যটনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে বলেন, পর্যাপ্ত ওয়াশ ব্লক তৈরি, খাবার ও বসার জায়গা তৈরি, নিরাপদ যাতায়াত ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করা হবে। বাস, ট্রেন ও বিমানবন্দরে ইনফরমেশন সেন্টার তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে পর্যটকরা এখান থেকে তাদের সব তথ্য পান। এক্ষেত্রে পর্যটন কর্পোরেশনের সাথে প্রশাসন, পুলিশ ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। বিমান নিয়ে বেশি ব্যস্ত ছিলেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানের সমস্যা কিছুটা সামাল দিয়ে উঠেছেন। আরো দু’টি বিমান ক্রয় করা হচ্ছে। এছাড়া অভ্যন্তরিণ রুটের জন্য তিনটি নতুন বিমান ক্রয় করা হয়েছে। বিমানে শৃঙ্খলা আনায় প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন বলে জানান তিনি।
.
তিনি বলেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে সিলেটের পর্যটন সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কিভাবে সিলেটে কাজ করা যায় সে সম্পর্কে সবার মতামত জানতে এই মতবিনিময় সভা। সভায় সিলেটের সরকারি কর্মকর্তা, পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ ২৪ খবর