ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
ক্রীড়া ডেস্ক : টেস্ট ম্যাচ তাতে কি! প্রায় প্রতিদিনই ৮ থেকে ১০ হাজার দর্শক হাজির হোলকার স্টেডিয়ামে। প্রায় সবার প্রত্যাশা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক ম্যাচ হবে ভারত-বাংলাদেশের। কিন্তু সবার ভাবনার বিপরীত ঘটনাই ঘটছে। মাঠে প্রবেশের সময় ইন্দোর পুলিশের এক কর্তার প্রশ্ন- ‘বাংলাদেশ এত খারাপ খেলছে কেন! ওদেরতো আরো ভালো খেলার কথা ছিল।’ বলবে না কেন? ইন্দোর টেস্টে প্রথম ইনিংসে টাইগাররা আউট হয়েছে মাত্র ১৫০ রানে। জবাব দিতে নেমে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৪৯৩ রান তোলে দ্বিতীয় দিন শেষে। তৃতীয় দিন সকালে অবশ্য ভারত আর ব্যাট করতেই নামেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে ৩৪৪ রানের লিড টপকানোর চ্যালেঞ্জ। সবার ধারণা ভারত যেভাবে ব্যাট করতে পেরেছে তাতে টাইগাররা অন্ত্যত দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। কিন্তু না, দুুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম যেন খেললেন প্রথম ইনিংসের ফটোকপি। দু’জনই সমান ৬ রান করে আউট।
.
অধিনায়ক মুমিনুললের উপর ভরসা ছিল। কিন্তু মাত্র ৭ রানেই তিনিও বিদায় নিলেন। এরপর মোহাম্মদ মিঠুন এসে দুই অঙ্কে পৌঁছালেন মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে। কিন্তু স্কোর বোর্ডে ৪৪ রান উঠতেই আউট মিঠুন। মাত্র ১৮ রানের অবদান রাখলেন তিনি। মধ্যাহ্ন বিরতীর আগ পর্যন্ত ৬০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ। দলের সবচেয়ে সিনিয়র দুই ক্রিকেটার মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ হাল ধরে ছিল। কিন্তু দলীয় ৭২ রানে মাহমুদউল্লাহ ও বিদায় নিলেন ১৫ রান করে।
.
মধ্যাহ্ন বিরতিতে প্রেসবক্সে যেন আড্ডা বসে ভারতের সংবাদকর্মিদের। তাদের আলোচনায় এক মাত্র বিষয় বাংলাদেশের এমন বেসুরা পারফরম্যান্স। পাশ দিয়ে যেতেই তাদের একজন প্রশ্ন করলেন- ‘কি হয়েছে ওদের (বাংলাদেশ) এতটা খারাপ করবে তা কল্পনাও করিনি। সত্যি এ কেমন বাংলাদেশ!’ ম্যাচের যে অবস্থা শঙ্কা হয়তো চা পানের বিরতির আগেই শেষ হয়ে যাবে ইন্দোর টেস্ট। যদি না মুশফিক বাকিদের নিয়ে বড় কিছু করতে না পারে।’ তিন দিনে টেস্ট শেষ হওয়াতের আশঙ্কাতে দিল্লি ও মুম্বাইয়ের সংবাদ কর্মিরা নিচ্ছে নিজ শহরে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি। অনেককেই দেখা যাচ্ছে বিমানের টিকিট কিনতে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host