ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ‘ইলামেরগাওঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জাফলং শিক্ষা সফর। বিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো শিক্ষা সফরে সার্বিকভাবে সহযোগীতাসহ অংশ নিতে পেরে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও যুক্তরাজ্যস্থ ডরসেট আওয়ামী লীগের সভাপতি এ আর চেরাগ আলী বলেন, শিক্ষা সফরের প্রধান উদ্দেশ্য হলো পাঠ্যসূচির সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জনসহ, অজানা পৃথিবীর বিচিত্র রুপের প্রত্যক্ষ করা। ছাত্রছাত্রীদের কথা চিন্তা করে, আমাদের বিদ্যালয় থেকে আমি প্রথমবারের মতো বিদ্যালয়ে শিক্ষা সফরের আয়োজন শুরু করি।আগামীর শিক্ষাথীদের জ্ঞান অর্জনে সহায়তায় সফরের উদ্যোগ নেই, এবং শিক্ষা সফরের জন্য শিক্ষকদের নিয়ে স্থান নির্বাচন করি। সোমবার ৯ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় ইলামেরগাওঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের, ৯ম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকগণ দের নিয়ে দুটি বিলাসবহুল বাসে চড়ে সিলেটের প্রকৃতি কন্যা হিসাবে পরিচিত, ভারতের মেঘালয় সিমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত জাফলং এর উদ্যোশ্য যাত্রা শুরু করি।
.
শিক্ষা সফরের তাদের সাথে থাকা দিনব্যাপী মুহুর্তগুলো প্রবাস জীবনে এরকম সুপরিকল্পিত, রুচিশীল ও আনন্দঘন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের সুযোগ হয়ে উঠেনি। প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে শিক্ষা সফর মিস করতে চাই না। বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদেরও মিস না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। বিশ্বনাথে অনেক বিদ্যালয়ে শীত মৌসুম আসলে, শিক্ষা সফর হলেও, অনেক উচ্চ বিদ্যালয়েই তা হয় না৷ হলেও অনেক বিদ্যালয়ে সেটা পিকনিক সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। সফরের শিক্ষাটা পাওয়া হয়ে ওঠে না বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীরই। শৈশবে ছেলে মেয়েরা খেলতে খেলতে পরিচিত হয় গাছপালা, ফুল, ফল, পাখি আর নানান বিচিত্র প্রকৃতির সঙ্গে। সময়ের সাথে সাথে জেনে নেয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের তথ্যগুলো। বিজ্ঞনের তথ্যগুলো বই পড়ে শিখা আর শিক্ষা সফরে চোখে দেখে শেখা, আর সে বিষয়ে মুখস্থ করে শেখার মধ্যে পার্থক্য অনেক।
.
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিরেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ সিলেটের প্রচীন চা বাগান, প্রাচীন খাসিয়া পাহাড়ের প্রকৃতির সম্পর্কে বইয়ের মধ্যে পড়া আর দেখে আসা, জানা তথ্যগুলো এবং বাংলাদেশের এসকল জায়গায়গুলোতে দেখতে পেরে শিক্ষার্থীদের মন আনন্দিত। সফরের শিক্ষাটা পাওয়া হয়ে ওঠে না বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীরই। শিক্ষা সফরের বিষয়গুলো সহজে আত্মস্থ হয়ে যায় এবং তা কখনোইন স্মৃতি থেকে মুছে যায় না। আমাদের শিক্ষা সফরের অন্যতম আকর্ষন ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাচ, গান, অভিনয়, আবৃত্তি ও কৌতুকসহ প্রকৃতির প্রতি পরিচিতি ইত্যাদি। যাতায়াতের সময় ছিল খাবার সরাবরাহ৷ তাদের সকলের সহযোগিতায় সম্প্রীতির মনোভাব গড়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে তখন দেখা দেয় দ্বায়িত্ব ও তাদের মধ্যে সচেতনতাও ছিল অনেক।
.
শিক্ষা সফর নিয়ে সাংবাদিক বদরুল ইসলাম মহসিন বলেন, ছাত্রছাত্রীদেরকে পুঁথিগত বিদ্যার বাইরেও শিক্ষা প্রয়োজন। এ জন্য শিক্ষা সফর বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে মনে করেন। তিনি উল্লেখ্য করেন, আনন্দের সঙ্গে হাতে কলমে না শিখলে লেখাপড়াটাও পরিপূর্ণ হয় না। শিক্ষা সফরে অংশ গ্রহন করে, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ইয়াসিন আলী, সহকারি শিক্ষক ইত্তে খাইরুল, প্রদীপ চন্দ্র সেন, প্রদিপ দাস, রাসেল রানা, সালা উদ্দিন, সামছুন নাহার পারভীন, মামমুদা আক্তার, মৌসুমী আক্তার, সংগটক জুবেল আহমদসহ প্রমুখ।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host