গোলাপগঞ্জে পিতা হত্যার বিচার পেতে শঙ্কায় পুত্র

প্রকাশিত: ৪:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯

গোলাপগঞ্জে পিতা হত্যার বিচার পেতে শঙ্কায় পুত্র

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায় বিচার পেতে শঙ্কায় রয়েছেন নিহতের পুত্র রুমেল আহমদ। ইতোমধ্যে তিনি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে পিতার মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা নিজে পরিচালনা করতে ও তাকে বাদী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেেিত বিচারক কাঁকন দে আবেদনটি নথি সামিলে রাখতে ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অবগত করার আদেশ দেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের পুত্র রুমেল আহমদ।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের বড় পুত্র হিমেল আহমদ জানান, ‘সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বাদী ফরমুজ আলী বিবাদী পরে সাথে সমঝোতায় নিষ্পত্তির জন্য রাজি হয়ে গেছেন। বিচারের আগে সমঝোতা হয়ে গেলে আমি পিতা হত্যার ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবো। আগামীতে অদ চালকদের জন্য কোন ছেলেকে যেনো পিতা হারা হতে না হয়, এজন্য আদালতের কাছে খুনির ফাঁসি দাবি করছি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই ফয়জুল করিম জানান, আদালতের আদেশ আমি পেয়েছি। বাদী সমঝোতা করে ফেলবে এমন ভয়ে নিহত ফজলুর রহমানের পুত্র রুমেল আহমদ মামলার বাদী হিসেবে তাকে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। আদালত তা নথি সামিলে রাখার আদেশ দিয়েছেন। তবে, এই মামলায় বাদীর দু’টি প রয়েছে। যার জন্য একটি প বিবাদির সাথে চাইলেও সমঝোতা করতে পারবে না।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ আগস্ট গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, রণকেলী এলাকার সিএনজি চালক সুরুজ আলী ও তার সহোদর তরমুজ আলী হেতিমগঞ্জের মোলাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে ট্রাক চাপায় মারা যান। এ ঘটনায় সিএনজি চালক সুরুজ আলীর ভাই ফরমুজ আলী বাদী হয়ে ঘাতক চালক শাকিল আহমদকে একমাত্র আসামী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি (০৭) মামলা দায়ের করেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর