ঢাকা ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:১৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০১৯
গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা
গোলাপগঞ্জে হিজড়াদের বেপরোয়া চাঁদাবাজি যেন দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। তাদের সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজির কাছে জনগণ জিম্মি হয়ে পড়েছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই। উপজেলার রাস্তা-ঘাট, শপিংমল, রেস্টুরেন্টঁ, বাসস্ট্যান্ডসহ এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে তারা চাঁদাবাজি করে না। কেউ আবার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই চলে অশ্রাব্য গালাগালসহ দুর্ব্যবহার। এতে অনেকেই বিব্রত হন।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিয়ের কোন তোরণ দেখলেই সেখানে প্রবেশ করা বা রাস্তায় বিয়ের গাড়ি থামিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করাটা যেন নিত্য পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে হিজড়াদের। তৃতীয় লিঙ্গের এই হিজড়া তাদের ইচ্ছে মত অঙ্কের টাকা দাবি করে বসে বর পক্ষ কিংবা বিয়ে বাড়িতে আসা লোকজনের কাছে। আর তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলেই ঘটে বিপত্তি। এমনকি রাজপথে বিয়ের গাড়ি থামিয়ে যখন চাঁদা দাবি করা হয়, তখন কিন্তু তাদের দাবির অঙ্কের টাকা পরিশোধ করাটা বরপক্ষের জন্য বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়। নত‚বা প্রকাশ্য দিবালোকে জনসম্মুখে অর্ধ নগ্ন কিংবা পুরো নগ্নসহ অশ্রাব্য ভাষার গালি শুনতে হবে তাদের কাছ থেকে। অনেকেই আবার লোক লজ্জার ভয়ে বা বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে দাবির টাকা পরিশোধ করে হাফ ছেড়ে বাঁচেন। কেউ কেউ আবার হাত পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করে নিজেকে উদ্ধার করেন।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসা বাড়িতে ঢুকে মাসের মধ্যে দুইতিন দিন চাদাঁ দাবি করে হিজড়ারা। এরা প্রথম মাসে একবার করে বাসা বাড়িতে গেলেও এখন মাসের মধ্যে দুই তিনবারও চলে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবিকৃত পরিমাণ চাঁদা দেওয়া না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত বসে থাকবে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে ফোন করে দলবল নিয়ে হাজির হয়ে যায়। কেউ আবার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই চলে অশ্রাব্য গালাগালসহ দূর্ব্যবহার। এতে অনেকেই বিব্রত হন।
গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সদস্য দেলোয়ার হোসেন মাহমুদ বলেন, হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। যা পিছিয়ে পড়া নির্যাতিত ও অসহায় এ জনগোষ্ঠীর জন্য যথাযোগ্য প্রাপ্তিই বলতে হয়। এর ফলে এক দিকে যেমন তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ ভেদে সব ধরনের নাগরিক অধিকার ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো গোলাপগঞ্জ উপজেলার দোকান, মার্কেট, শপিংমল, হাট-বাজারসহ বাড়ি-ঘর, বাসাতে ও তারা বেপরোয়ার চাদাঁবাজি করছে। তাই জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে হিজড়াদের চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ কামনা করছি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host