ঈদে চাই নতুনত্ব : গোলাপগঞ্জের দর্জিপাড়ায় পোশাক তৈরীর ভীড়

প্রকাশিত: ৫:৪৫ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০১৯

ঈদে চাই নতুনত্ব : গোলাপগঞ্জের দর্জিপাড়ায় পোশাক তৈরীর ভীড়

গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা
ঈদ মানেই নতুন পোশাক, আর সেই পোশাকের চাহিদা মেটাতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন গোলাপগঞ্জের দর্জিরা। এ কারণে ভীড় লেগেছে দর্জিপাড়ায়।

বুধবার বিকেল ৫টায় সরেজমিনে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরের বিভিন্ন মার্কেটের টেইলারিং দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, ব্যাপক ব্যাস্ততার মধ্যে রয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। ক্রেতাদের চাহিদা মাফিক পোশাক ডেলিভারী দিতে দিন রাত ঘাম ঝরিয়ে চলেছেন তারা।

স্থানীয় নূর ম্যানশনের কাওছার টেইলার্স’র স্বত্ত্বাধিকারী কাওছার আহমদ এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা আর নতুন কোনও অর্ডার রাখছি না, যে পরিমাণ পোশাকের অর্ডার আমাদের কাছে রয়েছে তাই আমাদের কাছে ঢের বেশী। আমার দোকানের কর্মচারীরা দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পোশাক তৈরী করে চলেছেন। এমনকি এর ধারাবাহিতকা ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

ওয়ারিছ উল্লাহ বিপনীর আরেক দর্জি ব্যাবসায়ী ইসলাম উদ্দিন জানান, মহিলাদের রুচি সম্পন্ন পোশাক বেশী তৈরী করা হচ্ছে সেই সাথে পুরুষদের পোশাকও পছন্দ মত। পোশাক তৈরীর মজুরী প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, পুরুষদের প্রতিটি শার্টের মজুরী ২৫০টাকা, প্যান্ট’র মজুরী ৩৫০টাকা, পাঞ্জাবীর মজুরী ৩৫০ টাকা। এছাড়াও মেয়েদের সেলোয়ার- কামিজের মজুরী ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, ব্লাউজ ১০০ টাকা ও বোরকা’র মজুরী ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। ঈদ উপলক্ষে মজুরীতে বাড়তি কোন পরিবর্তন আসেনি বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও গোলাপগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন দর্জি দোকানের কর্মচারীরা ব্যাস্ত সময় পার করতে দেখা গিয়েছে। রোজার প্রথম দিকে তাদের ব্যাস্ততা কম থাকলেও দিন বাড়ার সাথে সাথে কাজের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান তারা। সেই সাথে একটু বাড়তি আয়ের আশায় দিন রাত পরিশ্রম করে চলছে পোশাক শ্রমিকরা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর