সুরমা নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান

প্রকাশিত: ৪:৩০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯

সুরমা নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদন
সুরমা নদীতে বৈধ মৎস্যজীবীদের মৎস্য শিকারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীসহ নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এসময় নদী থেকে প্রতিবন্ধক সামগ্রী দুর করা হয় ও অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।

সোমবার সকালে শাহপরান (রহ.) থানার মুক্তির চক এলাকার সুরমা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইশতিয়াক ইমন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম। অভিযানে ২ প্লাটুন পুলিশ ও ২ প্লাটুন র‌্যাব সদস্য অংশগ্রহণ করেন।

সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইশতিয়াক ইমন এসময় বৈধ মৎস্যজীবীদের আশ্বস্থ করে বলেন, তারা সকলে যেনো ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তাহলে অবৈধ স্থাপনা তৈরীকারীদের প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দণি সুরমার সারপিং এলাকার একদল অবৈধ মৎস্যভোগীর নেতৃত্বে শাহপরান (রহ.) থানা এলাকার সুরমা নদীতে এপার থেকে ওপার পর্যন্ত খুটি গেড়ে জাল টানানো হয়। যে কারণে নৌ চলাচল বিঘিœত হয়। দখলকারীরা বৈধ মৎস্যজীবীদের মৎস্যশিকারে বাঁধা-বিপত্তি প্রদান করে এবং নৌ চলাচলে বাধা দেয়। পাশাপাশি কুচাই এলাকার সুরমা নদীতে ঘের তৈরি করে মৎস্য শিকার শুরু করে। এতে বৈধ শত শত কার্ডধারী মৎস্যজীবীরা তিগ্রস্থ হন। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইশতিয়াক ইমনের নেতৃত্বে প্রথম দফা সুরমা নদীতে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। তারপরও উল্লেখিত স্থানে সুরমা নদীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখেন অমৎস্যজীবীরা।

এ অবস্থায় প্রশাসন সোমবার সকালে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সুরমা নদীর প্রতিবন্ধকতা উচ্ছেদ করা হয় এবং অবৈধভাবে নদী দখল করে টানানো জাল পুড়ে ফেলা হয়।

অভিযানকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় রাজ বর্মা, দণি সুরমা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ছমির উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ধ্র“ব জ্যোতি দাস, কুশিঘাট আলোকিত যুব সংস্থার সভাপতি ইমতিয়াজ রহমান ইনু, কুনু মিয়া, আজির মিয়া, বাহার মিয়া, ইরান মিয়া, ওলিম উদ্দিন, কাদির মিয়া, আজির উদ্দিন, বাহরাম মিয়া, আখতার মিয়া, আব্দুল আলিম, শামীম, পিয়ার উদ্দিন, রকিব আহমদ, শরীফ মিয়া, মন্নান মিয়া, আফসর মিয়া, কওছর মিয়া, নজরুল ইসলাম, তজম্মুল আলী, সইদুল, নাজিম মিয়া, দিলোয়ার মিয়া, সফিক মিয়া, আনসার, শাইস্তা, আজির উদ্দিন, মকবুল হোসেন, হেলাল মিয়া, জলাল মিয়া, মহরম আলী, নুর উদ্দিন, তাহির উদ্দিন, ইশাদ মিয়া প্রমুখ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর