ঢাকা ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০১৯
গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা
লিবিয়া থেকে অবৈধ পথে ইতালী যাওয়ার পথে নৌকা ডুবির ঘটনায় মারা গেছেন গোলাপগঞ্জ, সিলেটসহ বাংলাদেশী অনেক যুবক। ঐ পথের যাত্রী ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউপির উত্তর গোলাপনগর গ্রামের মৃত বশর আলীর পুত্র আবুল কাশেম(২২)। নৌকা ডুবির ৬দিন অতিবাহিত হলেও এখনো তার কোন খোঁজ পায়নি পরিবার।
বিগত ২/৩ দিনে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে ২৭ বাংলাদেশীর মধ্যে ২০ সিলেটি যুবকের পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে সংবাদ প্রকাশিত। তবে রেড ক্রিন্টের তালিকা মতে- আবুল কাশেমের পরিবর্তে কাশিম আহমদ নামীয় এক যুবকের লাশ সনাক্ত করা হলেও এখনো তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে আবুল কাশেম মারা গেছেন বলে গোলাপগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারকারী অনেকেই বার্তা পোস্ট করেছেন। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার সূত্রপাত হয়েছে। উপজেলাবাসী আবুল কাশেম মারা গেছেন জানলেও পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সে এখনো নিখোঁজ। তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে দিন যত বাড়ছে আবুল কাশেমের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার মা, ভাই বোন ও স্বজনরা। ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবির পর থেকে আবুল কাশেমের এখনো কোন খোঁজ পাননি বলে দাবি পরিবারের। এছাড়াও বাঘার ইউপির আবুল কাশেম মারা গেছেন ও তার লাশ পাওয়া গেছে বলে বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বার্তা দেয়া হয়।
এব্যাপারে আবুল কাশেমের বড় ভাই আনা মিয়ার সাথে আলাপকালে তিনি বিজয়ের কণ্ঠকে জানান, সাগরে নৌকা ডুবির পর থেকে আবুল কাশেম নিখোঁজ রয়েছে। আমরা দূতাবাস ও সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করেছি। তার ছবি ও কিছু তথ্য সেখানে প্রেরণ করেছি। কিন্তু এখনো তার কোন সঠিক খোঁজ পায়নি। এদিকে আবুল কাশেমের চিন্তায় মা প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host