ঢাকা ২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৪ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২৫
মাহদিউস সুন্নাহ
পৃথিবীর সবাই স্বার্থপর। নিজের উপকার ছাড়া কেউ কারও কিছু করতে চায় না। এমনকি স্বার্থ ছাড়া কেউ কাওকে ভালোবাসেও না। কিন্তু ব্যতিক্রম একমাত্র মা এবং বাবা। তাঁরা কোনপ্রকার স্বার্থ ছাড়াই সন্তানকে ভালোবাসেন। সন্তানের তরে নিজের সবটুকুই বিলিয়ে দিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকেন। সন্তানের কিছু না-হওয়ার জন্যে তাঁরা প্রাণপন নয়, বরং মরণাপন চেষ্টা করেন। ‘সন্তানের এক ফোঁটা অশ্রুতে তাঁরা কাঁদেন, সন্তানের হাসিতে পান অনন্ত স্বস্তি।’
একজন মা তাঁর সন্তানের জন্য যা করেন—তা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। মায়ের আত্মত্যাগ ভাষায় প্রকাশের অতীত। গর্ভধারণের সময় থেকেই শুরু হয় তাঁর নিঃশব্দ যুদ্ধ। দশ মাস দশ দিন তিনি ভুলে যান নিজের আরাম-আয়েশ, ত্যাগ করেন স্বাভাবিক জীবনযাপন। তাঁর পুরো সময়টুকু সন্তানের জন্য বরাদ্দ করে দেন। প্রসব বেদনার সীমাহীন যন্ত্রণা কেবল একজন মা-ই বুঝতে পারেন। শুধু এখানেই শেষ না; সন্তান পুরোপুরি বড় হওয়া পর্যন্ত মায়ের কষ্ট অনস্বীকার্য।
একজন বাবা সন্তান ও পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলেন এক দিকদিগন্তহীন অভিযানে, ভুলে যান নিজের আরাম-আয়েশ।
সন্তাদের মুখে হাসি দেখলে মা-বাব ভুলে যান—তাঁদের হাজারো কষ্টের অভাবনীয় অনুভূতি। হ্যাঁ, তাঁরাই মা এবং বাবা। এজন্যই তো আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের হকের কথা বলেই দুনিয়ার শত শত বিষয়াদি রেখে মা-বাবার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তা’লা বলেন— “তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা তাঁর ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত না করো এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করো।
তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তাহলে তুমি তাদের প্রতি ‘উফ’ পর্যন্ত বলো না, তাদের ধমক দিও না; এবং তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বলো।” [সূরা আল-ইসরা: ২৩] ‘এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাওহিদের সাথে সাথে পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন, বিশেষত যখন তারা বার্ধক্যে উপনীত হন—তখন ধৈর্য, নম্রতা ও সম্মান প্রদর্শনের গুরুত্ব এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।’
মা-বাবার প্রতি সদাচরণের জন্য হাদিসেও অসংখ্য তাগিদ এসেছে। ভালো ও সুন্দর ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। একইভাবে অসদাচরণকারী ও অবাধ্যদের ধমক ও শাস্তির কথা উল্লেখ আছে। হযরত আবু হুরায়া (রা) বলেন—একদিন এক ব্যক্তি নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললো: হে রাসুলাল্লাহ! আমার সুন্দর ও উত্তম আচরণ পাওয়ার অধিক হকদার কে? রাসুল সা. বললেন— ‘তোমার মা, তখন ওই ব্যক্তি বললো- এর পর কে? রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- ‘তোমার মা। ব্যক্তিটি আবার বললো এরপর কে? নবিজী একই উত্তর দিলেন- ‘তোমার মা’। সে ব্যক্তি বলে— এরপর কে? তখন রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন—’তোমার পিতা’। (বুখারী মুসলীম) নবিজী মায়ের কথা প্রথমে এবং একাদিকবার উল্লেখের কারণ হলো—বাবার অপেক্ষা মায়ের কষ্ট অনেক অনেক বেশি। ওপর একটি হাদিসে এসেছে- ‘মাতা-পিতার পদতলে সন্তানের বেহেশত’ আরেকটি হাদিসে আছে নবিজী সা. বলেছেন- ‘পিতার সন্তুষ্টই অল্লাহর সন্তুষ্ট, আর পিতার অসন্তুষ্টই আল্লাহর অসন্তুষ্ট।’ (তিরমিজি)
পিতামা মাতা-পিতা সন্তানের জন্য কষ্ট করেন- শুধু এজন্যই সন্তান তাদের সাথে উত্তম আচরণ করবে এমন না; বরং সন্তান তাদের সাথে ভালো ব্যবহারের দ্বারা তার দুনিয়ায় অনেক উপকার এবং আখেরাতে অপরিসীম কল্যাণ নিহিত আছে।
যেমনটি এক হাদিসে এসেছে যে—কেও যদি রিযিকে প্রশস্ততা ও আয়ূর দৈর্ঘতা চায় সে যেন মা-বাবার সাথে সুসম্পর্ক রাখে। (বুখারী ও মুসলীম)
দুনিয়ার আলো দেখার একমাত্র মাধ্যম—মা ও বাবার সাথে যে সদাচরণ করবে না- তার জন্যে ইহজগতও পরজগতে রয়েছে লাঞ্ছনা ও বঞ্ছনা। হাদিসে আছে— নিশ্চয় আল্লাহ তা’লা মা-বাবার সাথে অসাদাচরণকে হাররম করেছেন। (বুখারী ও মুসলীম) হযরত ইবনে উমর রা. বলেন- বাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— “মা-বাবাকে গালি দেয়া হলো কবিরা গুনাহ” তখন সাহাবিরা আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করেন— “হে আল্লাহর রাসুল! কিভাবে সন্তান তার মা-বাবাকে গালি দেবে?” সাহাবিদের আশ্চর্যের কারণ হলো— যে মা ও বাবা সন্তানের জন্য এত এত কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করলেন, লালনপান করলেন, সে সন্তান তার মা এবং বাবাকে কীভাবে গালি দেবে? অর্থাৎ সন্তানের অবাধ্যতা—এটা কল্পনাও করতে পরছিলেন না। (এজন্যইতো তারা সাবাহা হবার সৌভাগ্য অর্জন বারেছিলেন) অরেকটি হাদিসে আছে— আত্মীয়তা-সম্পর্ক বিচ্ছনকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
এ-তো গেলো মাথা-পিতা দুনিয়াতে থাকলে তাদের আদর-সেবা কের জান্নাত লাভের সহজ মাধ্যম। কিন্তু যাদের মাথা-পিতা নেই তারা কী করবে? চলুন আমরা হাদিসে নববীর দিকে থাকাই; একদিন এক ব্যক্তি নবিজীর নিকট এসে বললো—হে রাসুলুল্লাহ! আমার মাথা-পিতা মারা যাবার পর তাঁদের কী কোন সেবা করতে পরবে না? তখন রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন— অবশ্যই, মৃত্যুর পর তাদের জন্য দুয়া ও ক্ষমাপ্রার্থনা করবে। এটুকুই মৃত্যুর পরে তাঁদের সবচে’ উপকারী। এরপর নবিজী ওই ব্যক্তিকে বললেন— তাঁদের সমবয়স্কদের সাঙ্গে উত্তম আচরণ করবে।(আবু দাউদ, ইবনে মাজা)
মা-বাবা যদি অমুসলিম হন তবে তাদের সাথে কিরূপ আচরণ হবে? ইলামের শিক্ষা হলো—মা-বাবা যে কোন ধর্মের হোক তাদের সাথে ভালো ব্যবহার সন্তানের জন্য জরুরি। যেমন আমরা হাদিসে পাই—উসামা বিনতে আবি বকর রা. নবিজীকে বললেন— আমার মা আমার নিকট আসছেন তিনি হলেন মুশরিক, এখন আমি তার সাথে কীরূপ আচরণ করব? তখন নবিজী উসামা বিনতে আবি বকরকে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন। (মুত্তাফাক আলাইহি) মা-বাবা এমন এক ছায়া, যা রোদে প্রশান্তি দেয়, আর অন্ধকারে পথ দেখায়। তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার কেবল ধর্মীয় কর্তব্য নয়, বরং মানবিক দায়িত্ব। যে সন্তান তার মা-বাবার দোয়া অর্জন করে, তার জীবন হয় বরকতময় ও সফল। তাই আসুন—জীবিত মা-বাবার সেবা করি, আর প্রয়াতদের জন্য দোয়া করি। এটাই আমাদের জন্য ইহকাল ও পরকালের শ্রেষ্ঠ সঞ্চয়।
লেখক : শিক্ষার্থী- দারুল উলূম মাদানীনগর, ঢাকা।
মা-বাবা : জান্নাতের পথে অনন্য সোপান
মাহদিউস সুন্নাহ
পৃথিবীর সবাই স্বার্থপর। নিজের উপকার ছাড়া কেউ কারও কিছু করতে চায় না। এমনকি স্বার্থ ছাড়া কেউ কাওকে ভালোবাসেও না। কিন্তু ব্যতিক্রম একমাত্র মা এবং বাবা। তাঁরা কোনপ্রকার স্বার্থ ছাড়াই সন্তানকে ভালোবাসেন। সন্তানের তরে নিজের সবটুকুই বিলিয়ে দিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকেন। সন্তানের কিছু না-হওয়ার জন্যে তাঁরা প্রাণপন নয়, বরং মরণাপন চেষ্টা করেন। ‘সন্তানের এক ফোঁটা অশ্রুতে তাঁরা কাঁদেন, সন্তানের হাসিতে পান অনন্ত স্বস্তি।’
একজন মা তাঁর সন্তানের জন্য যা করেন—তা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। মায়ের আত্মত্যাগ ভাষায় প্রকাশের অতীত। গর্ভধারণের সময় থেকেই শুরু হয় তাঁর নিঃশব্দ যুদ্ধ। দশ মাস দশ দিন তিনি ভুলে যান নিজের আরাম-আয়েশ, ত্যাগ করেন স্বাভাবিক জীবনযাপন। তাঁর পুরো সময়টুকু সন্তানের জন্য বরাদ্দ করে দেন। প্রসব বেদনার সীমাহীন যন্ত্রণা কেবল একজন মা-ই বুঝতে পারেন। শুধু এখানেই শেষ না; সন্তান পুরোপুরি বড় হওয়া পর্যন্ত মায়ের কষ্ট অনস্বীকার্য।
একজন বাবা সন্তান ও পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলেন এক দিকদিগন্তহীন অভিযানে, ভুলে যান নিজের আরাম-আয়েশ।
সন্তাদের মুখে হাসি দেখলে মা-বাব ভুলে যান—তাঁদের হাজারো কষ্টের অভাবনীয় অনুভূতি। হ্যাঁ, তাঁরাই মা এবং বাবা। এজন্যই তো আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের হকের কথা বলেই দুনিয়ার শত শত বিষয়াদি রেখে মা-বাবার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তা’লা বলেন— “তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন, যেন তোমরা তাঁর ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত না করো এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করো।
তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তাহলে তুমি তাদের প্রতি ‘উফ’ পর্যন্ত বলো না, তাদের ধমক দিও না; এবং তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বলো।” [সূরা আল-ইসরা: ২৩] ‘এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাওহিদের সাথে সাথে পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন, বিশেষত যখন তারা বার্ধক্যে উপনীত হন—তখন ধৈর্য, নম্রতা ও সম্মান প্রদর্শনের গুরুত্ব এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।’
মা-বাবার প্রতি সদাচরণের জন্য হাদিসেও অসংখ্য তাগিদ এসেছে। ভালো ও সুন্দর ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। একইভাবে অসদাচরণকারী ও অবাধ্যদের ধমক ও শাস্তির কথা উল্লেখ আছে। হযরত আবু হুরায়া (রা) বলেন—একদিন এক ব্যক্তি নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললো: হে রাসুলাল্লাহ! আমার সুন্দর ও উত্তম আচরণ পাওয়ার অধিক হকদার কে? রাসুল সা. বললেন— ‘তোমার মা, তখন ওই ব্যক্তি বললো- এর পর কে? রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- ‘তোমার মা। ব্যক্তিটি আবার বললো এরপর কে? নবিজী একই উত্তর দিলেন- ‘তোমার মা’। সে ব্যক্তি বলে— এরপর কে? তখন রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন—’তোমার পিতা’। (বুখারী মুসলীম) নবিজী মায়ের কথা প্রথমে এবং একাদিকবার উল্লেখের কারণ হলো—বাবার অপেক্ষা মায়ের কষ্ট অনেক অনেক বেশি। ওপর একটি হাদিসে এসেছে- ‘মাতা-পিতার পদতলে সন্তানের বেহেশত’ আরেকটি হাদিসে আছে নবিজী সা. বলেছেন- ‘পিতার সন্তুষ্টই অল্লাহর সন্তুষ্ট, আর পিতার অসন্তুষ্টই আল্লাহর অসন্তুষ্ট।’ (তিরমিজি)
পিতামা মাতা-পিতা সন্তানের জন্য কষ্ট করেন- শুধু এজন্যই সন্তান তাদের সাথে উত্তম আচরণ করবে এমন না; বরং সন্তান তাদের সাথে ভালো ব্যবহারের দ্বারা তার দুনিয়ায় অনেক উপকার এবং আখেরাতে অপরিসীম কল্যাণ নিহিত আছে।
যেমনটি এক হাদিসে এসেছে যে—কেও যদি রিযিকে প্রশস্ততা ও আয়ূর দৈর্ঘতা চায় সে যেন মা-বাবার সাথে সুসম্পর্ক রাখে। (বুখারী ও মুসলীম)
দুনিয়ার আলো দেখার একমাত্র মাধ্যম—মা ও বাবার সাথে যে সদাচরণ করবে না- তার জন্যে ইহজগতও পরজগতে রয়েছে লাঞ্ছনা ও বঞ্ছনা। হাদিসে আছে— নিশ্চয় আল্লাহ তা’লা মা-বাবার সাথে অসাদাচরণকে হাররম করেছেন। (বুখারী ও মুসলীম) হযরত ইবনে উমর রা. বলেন- বাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— “মা-বাবাকে গালি দেয়া হলো কবিরা গুনাহ” তখন সাহাবিরা আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করেন— “হে আল্লাহর রাসুল! কিভাবে সন্তান তার মা-বাবাকে গালি দেবে?” সাহাবিদের আশ্চর্যের কারণ হলো— যে মা ও বাবা সন্তানের জন্য এত এত কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করলেন, লালনপান করলেন, সে সন্তান তার মা এবং বাবাকে কীভাবে গালি দেবে? অর্থাৎ সন্তানের অবাধ্যতা—এটা কল্পনাও করতে পরছিলেন না। (এজন্যইতো তারা সাবাহা হবার সৌভাগ্য অর্জন বারেছিলেন) অরেকটি হাদিসে আছে— আত্মীয়তা-সম্পর্ক বিচ্ছনকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
এ-তো গেলো মাথা-পিতা দুনিয়াতে থাকলে তাদের আদর-সেবা কের জান্নাত লাভের সহজ মাধ্যম। কিন্তু যাদের মাথা-পিতা নেই তারা কী করবে? চলুন আমরা হাদিসে নববীর দিকে থাকাই; একদিন এক ব্যক্তি নবিজীর নিকট এসে বললো—হে রাসুলুল্লাহ! আমার মাথা-পিতা মারা যাবার পর তাঁদের কী কোন সেবা করতে পরবে না? তখন রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন— অবশ্যই, মৃত্যুর পর তাদের জন্য দুয়া ও ক্ষমাপ্রার্থনা করবে। এটুকুই মৃত্যুর পরে তাঁদের সবচে’ উপকারী। এরপর নবিজী ওই ব্যক্তিকে বললেন— তাঁদের সমবয়স্কদের সাঙ্গে উত্তম আচরণ করবে।(আবু দাউদ, ইবনে মাজা)
মা-বাবা যদি অমুসলিম হন তবে তাদের সাথে কিরূপ আচরণ হবে? ইলামের শিক্ষা হলো—মা-বাবা যে কোন ধর্মের হোক তাদের সাথে ভালো ব্যবহার সন্তানের জন্য জরুরি। যেমন আমরা হাদিসে পাই—উসামা বিনতে আবি বকর রা. নবিজীকে বললেন— আমার মা আমার নিকট আসছেন তিনি হলেন মুশরিক, এখন আমি তার সাথে কীরূপ আচরণ করব? তখন নবিজী উসামা বিনতে আবি বকরকে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন। (মুত্তাফাক আলাইহি) মা-বাবা এমন এক ছায়া, যা রোদে প্রশান্তি দেয়, আর অন্ধকারে পথ দেখায়। তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার কেবল ধর্মীয় কর্তব্য নয়, বরং মানবিক দায়িত্ব। যে সন্তান তার মা-বাবার দোয়া অর্জন করে, তার জীবন হয় বরকতময় ও সফল। তাই আসুন—জীবিত মা-বাবার সেবা করি, আর প্রয়াতদের জন্য দোয়া করি। এটাই আমাদের জন্য ইহকাল ও পরকালের শ্রেষ্ঠ সঞ্চয়।
লেখক : শিক্ষার্থী- দারুল উলূম মাদানীনগর, ঢাকা।
নিজস্ব প্রতিবেদক হেতিমগঞ্জ বাজারের মা এন্টারপ্রাইজের সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের ভারে ভেঙে যায় ড্রেনের স্ল্যাব। গুদামে মালামাল আনলোডের সময় ট্রাকগুলোকে এখানেই দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ড্রেনটি আক্রান্ত হওয়ার আজ প্রায় ৫ দিন অতিবাহিত হলেও তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। যদিও তাদের যথেষ্ট রড-সিমেন্ট মজুদ আছে। কিন্তু ড্রেনটি মেরামতে তারা সম্পূর্ণ উদাসীন।…
In "এক্সক্লুসিভ"
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে নিরীহ জনসাধারণকে হয়রানি করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র- এমন অভিযোগ তুলেছেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানাধীন দাউদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ খালিক আহমদ (৬৫)। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে শনিবার (২১ জুন) সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের ড. রাগীব আলী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন…
In "গণমাধ্যম"
নিজস্ব প্রতিবেদক বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজ সেবক, সংগঠক এবং একাধিক ব্যবসা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার রেজাউল করিম লিটন। বৃহত্তর পরিসরে মানবসেবার ব্রতী নিয়ে এখন স্বপ্ন দেখছেন জনপ্রতিধি হওয়ার। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আধ্যাতিত্নক নগরী সিলেট-১ আসনের জণগণের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী। জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজয়ের কণ্ঠকে লিটন বলেন, জনগণই…
In "মহানগর"
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host